হাসপাতাল থেকে কোথায় যাবেন খালেদা জিয়া?

চিকিৎসা শেষে খালেদা জিয়াকে নাজিমুদ্দিন রোডের কারাগারে নাকি কেরাণীগঞ্জে কারাগারে নেয়া হবে? এই প্রশ্নে সরকার এখনও কিছু বলেনি।

তবে এবার নাজিমুদ্দিন রোডের কারাগার থেকে খালেদা জিয়াকে যখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে নেয়া হয়, তখন তার ব্যহারের সব জিনিস হাসপাতালে আনা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এর আগে গত বছর এই হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছিল, সেসময় সব জিনিস আনা হয়নি।

বিএনপির সূত্রগুলো বলছে, একটা যোগাযোগের ভিত্তিতেই খালেদা জিয়াকে এখন হাসপাতালে আনা হয়েছে।

এই সূত্রগুলো ধারণা করছে, কোনো সমঝোতা না হলে সরকার খালেদা জিয়াকে নাজিমুদ্দিন রোডের কারাগারে না নিয়ে কেরাণীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারে নিতে পারে।

খালেদা জিয়ার মুক্তি

ড: কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরাম এবং বিএনপিসহ কয়েকটি দলের এই জোট গত ৩০শে ডিসেম্বরের নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তুলে তাদের নির্বাচিত এমপিদের শপথ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সে সিদ্ধান্ত বদলানোর কোনো চিন্তা রয়েছে বলে জোটের কোনো নেতাই এখনও বলছেন না।

কিন্তু বিএনপি এখন খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়কে একমাত্র ইস্যু হিসেবে নিয়ে এগুতে চাইছে। সেজন্য বিভিন্ন কৌশল নিয়ে দলে আলোচনা রয়েছে।

দলটির নেতাদের অনেকে বলেছেন, তাদের দল বার বার সংকটে পড়ছে। তারা ঘুরে দাঁড়াতে পারছেন না। এমনকি তাদের দলের নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যাপারেও তারা আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেননি।

তাই দলের অনেক নেতা এখন মেনেই নিচ্ছেন যে তাদের নেত্রীর মুক্তির বিষয়টি সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের ইচ্ছা অনিচ্ছার ওপর নির্ভর করছে।

সে কারণেই খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য সমঝোতার প্রয়োজন হলে সেখানে বিএনপি সংসদে যোগ দিতে পারে এমন একটা চিন্তা তাদের কারো কারো মধ্যে রয়েছে।

তবে খালেদা জিয়া কোনো সমঝোতা চাইবেন কিনা, সেটি তাদের মাঝে একটা বড় প্রশ্ন।

তারা মনে করেন, খালেদা জিয়া নিজেই সিদ্ধান্ত নেবেন। সেজন্য তার সাথেই কথা বলে বিএনপি নেতাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

তবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারের সাথে তাদের দলের কারও সাথে কোনো আলোচনা, আপোষ বা সমঝোতা হচ্ছে না।

মি:আলমগীর বলেন, “উনিতো শুধু আমাদের চেয়ারপারসন নন। তিনি দেশের গণতান্ত্রিক নেত্রী। সেক্ষেত্রে তাঁর মুক্তি জরুরী। সেজন্য আমরা সরকারের ওপর চাপ তৈরি করতে আন্দোলনের ব্যবস্থা নিচ্ছি… আন্দোলন মানেতো শুধু হরতাল নয়।”