ক্ষতিগ্রস্ত ১৩০ পরিবারকে বরণে প্রস্তুত ‘স্বপ্নের ঠিকানা’
নির্মাণাধীন পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে ক্ষতিগ্রস্ত ১৩০ পরিবারকে বরণ করে নিতে প্রস্তুত ‘স্বপ্নের ঠিকানা’। পটুয়াখালী কলাপাড়ায় ১৩২০ মেগাওয়াট পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জমি অধিগ্রহণে এই পরিবারগুলো তাদের জমি-বসতভিটা হারায় দু’বছর আগে।
শনিবার (২৭ অক্টোবর) তাদের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘরের চাবি তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া আবাসনের উদ্বোধনসহ ৫টি প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর ও ১৬টি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফলক উন্মোচন করাসহ সুধীসমাবেশে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া মৌজায় কয়লা ভিত্তিক ১৩২০ মেগাওয়াট পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ কাজের প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০১৬ সালে। এর আগে ২০১৫ সালের ২২ মার্চ বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। বিদ্যুৎ কেন্দ্রর জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয় ১ হাজার একর। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ওই এলাকার ১৩০টি পরিবার। তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজের পাশাপাশি শুরু হয় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন প্রকল্পর প্রক্রিয়া।
১৬ একর জমির ওপর স্বপ্নের ঠিকানা প্রকল্পটি স্বপ্নের মতো করেই নির্মিত। আর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহযোগী প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড এনডিই। সেমিপাঁকা ঘরগুলো ২০ শতাংশের মধ্যে, যারা ক্ষতিগ্রস্ত তাদের জন্য এক হাজার স্কয়ার ফিটের এবং যারা ২০ শতাংশের বেশী জমি হারিয়েছেন তাদের জন্য ১২শ’ স্কয়ার ফিটের এল প্যাটার্নের ঘর।
স্বপ্নের ঠিকানা প্রকল্পটি আসলে স্বপ্নের মতো করে তৈরি করা হয়েছে বলে জানালেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান।
জেলা পরিষদ পটুয়াখালী চেয়ারম্যান মো. খলিলুর রহমান বলেন, ‘বাগান, গাছপালা সব কিছু অনেক সুন্দরভাবে করা হয়েছে। এখানে সব সুযোগ-সুবিধা রাখা হয়েছে।’
প্রকল্পটি উদ্বোধন উপলক্ষে সব প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হয়েছে বলে জানালেন পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘২৭ অক্টোবর ‘স্বপ্নের ঠিকানা’ উদ্বোধনের যে প্রস্তুতি রয়েছে সেটা পটুয়াখালীর জন্য মাইলফলক হয়ে থাকবে।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন