২০২৫ সালের মধ্যে বোচাগঞ্জের সকল রাস্তাঘাট উন্নয়ন ও পাকা করা হবে- নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জে সুয়া নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণ এ এলাকার জনগণের জন্য। জনগণের জন্য ঈদকে সামনে রেখে বোচাগঞ্জের মানুষকে সুয়া নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণসহ অন্যান্য উন্নয়নগুলো উপহার দিয়ে গেলাম। বোচাগঞ্জে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। ১০ বছর আগে যারা বোচাগঞ্জে এসেছিল তারা এখন বোচাগঞ্জকে সহজে চিনতে পারবে না।
আরো কিছু উন্নয়ন বাকি আছে। কোভিড-১৯ এবং ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের কারণে উন্নয়ন কিছুটা ব্যাহত হলেও শীঘ্রই আমরা উন্নয়ন কাজগুলো দ্রুত শুরু করতে পারব। ২০২৫ সালের মধ্যে বোচাগঞ্জের সকল রাস্তাঘাট উন্নয়ন ও পাকা করা হবে। সেতাবগঞ্জে বাইপাস রাস্তা/ফ্লাইওভার/সার্কল রোড নির্মাণের লক্ষ্যে স্টাডি করা হচ্ছে। স্টাডি সফল হলে আগামী নির্বাচনের আগেই নির্মাণের ব্যবস্থা করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন। এ স্মার্ট বাংলাদেশে সড়ক পথে বোচাগঞ্জ এবং বোচাগঞ্জের মানুষও তার সাথে সাথে চলবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ দিনাজপুরের বোচাগঞ্জের সেতাবগঞ্জে সুয়া নদীর উপর নবনির্মিত ব্রিজের উদ্বোধনসহ বিভিন্ন রাস্তার উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
বোচাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছন্দা পালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সেতাবগঞ্জ পৌর মেয়র মো. আসলাম। বোচাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সৈয়দ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আফসার আলী উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে দুর্নীতিবাজ আখ্যায়িত করার চেষ্টা করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সে বাংলাদেশ আজকে পদ্মা সেতুর মালিক। এ পদ্মা সেতুর মালিক বিশ্বব্যাংক, জাইকা, আইএমএফ নয়; এ পদ্মা সেতুর মালিক দেশের ১৬ কোটি মানুষ। যাদের ঘাম ও শ্রমের টাকায় শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু করেছেন। বঙ্গবন্ধু টানেল, মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দৃশ্যমান।
যারা গত ৫/১০ বছরে ঢাকা শহরে যায়নি; তারা এখন ঢাকা শহরকে ঠিকমত চিনতে পারবে না। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। যারা গত ১০ বছরে বোচাগঞ্জে আসেনি তারা বোচাগঞ্জকে সহজে চিনতে পারবে না। এতো উন্নয়ন হয়েছে। এটা বাস্তবতা। যেখানেই যাবেন সেখানেই উন্নয়ন। ১,৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে দিনাজপুর শহরের মধ্য দিয়ে রাজনগর পর্যন্ত চার লেনের রাস্তা করা হবে। যানজট নিরসনে কাজ করছি। দিনাজপুর শহরের ওপর দিয়ে ফ্লাইওভার নির্মাণের প্রস্তাবনা করেছি। শুধু দিনাজপুর নয়; সমগ্র উত্তরাঞ্চলের প্রত্যেকটি নদী ও শাখা নদী খননের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে কৃষকরা সেচ সুবিধার সুযোগ পাচ্ছে। তাদের ফসলের উৎপাদন ক্ষমতা বেড়ে গেছে।
দু’লেন বিশিষ্ট ৬০মিটার দৈর্ঘ্যের ব্রিজটি নির্মাণে চার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। ব্রিজটি সেতাবগঞ্জ বাজারের সাথে ব্রিজের ওপারের পৌর এলাকা, ৩নং মুশিদহাট ইউনিয়নের আংশিক এবং ১নং নাফানগর ইউনিয়নের সর্বসাধারণের মিলনস্থল শুধু নয়, এটি আরো দু থেকে তিনটি জনপদের সাধারণ মানুষের মিলনস্থল। পার্শ্ববর্তী ঠাকুরগাঁও জেলায় তিনটি জনগুরুত্বপূর্ণ উপজেলা পীরগঞ্জ, রানীশংকৈল, হরিপুরকে এই ব্রিজ এক সুতোয় গেঁথেছে। নানাবিধ গুরুত্বপূর্ণ কাজে পার্শ্ববর্তী উপজেলাগুলোকে জেলা শহর দিনাজপুরে যেতে সহযোগিতা করবে এই ব্রিজ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন