২২ এর স্থলে ২৬ টন নেয়ার দাবী নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ধান ব্যবসায়ীদের
নেত্রকোনার দুর্গাপুর থেকে ধান পরিবহনে বাঁধার সৃষ্টি করছে বিরিশিরি-শ্যামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের জারিয়া আনসার ক্যাম্প সংলগ্ন স্থাপিত ওজন স্কেল। ব্যবয়াসীদের দাবী, ধান পরিবহনে প্রয়োজন ট্রাকসহ ২৬ টন কিন্তু তাদের জন্য নির্ধারিত আছে ট্রাকসহ ২২ টন। যার কারণে প্রয়োজন মতো পরিবহন করতে না পারায় বেশি খরচ পড়ছে পরিবহনে। এ ওজন স্কেল দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে দুর্গাপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা জানান স্থানীয় ধান ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল ওয়াহাব মড়ল ও সাধারণ সম্পাদক প্রভাত চন্দ্র সাহা।
ধান ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল ওয়াহাব মড়ল বলেন, নেত্রকোনা জেলার অন্য সকল উপজেলা থেকে ট্রাকসহ ২৬ টন ধান নিচ্ছে মহাজনরা। কিন্তু শুধুমাত্র আমাদের দুর্গাপুর উপজেলা থেকে ২২ টন দিতে হচ্ছে। কিন্তু এভাবে মহাজনেরা ধান গ্রহন করতে চাইছেনা। আমাদের একটি ট্রাকে ২৩০ বস্তা ধান দিতে হয় তাতে ২৬ টনের ওজন হয়, কিন্তু বর্তমানে ২২ টনে দিতে গেলে ১৮০ বস্তা দিতে হচ্ছে যার কারণে পরিবহন খরচ নিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে আমরা ২২ টন থেকে ২৬ টন করার জন্য অনুরোধ জানিয়ে জেলা প্রশাসক, সড়ক ও জনপদ বিভাগ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার,বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দুর্গাপুর ক্যাম্প ইনচার্জ বরাবর অনুলিপি দিয়েছি। আমরা ওজন স্কেল ২৬ টন চাই।
সংবাদ সম্মেলনে এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দান ব্যবসায়ি সুবল চন্দ্র দে, ভানু সাহা, উজ্জল পাল, জামাল উদ্দিন, অতিম চক্রবর্ত্তী, চন্দন ব্রম্ম প্রমুখ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন