৩৩ মিনিটে কক্ষপথে পৌঁছাল বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট
নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে মহাকাশের দিকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১। শুক্রবার দিবাগত রাত ২টা ১৪ মিনিটে স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করা হয়। উৎক্ষেপণের পর এটি স্বাভাবিকভাবেই মহাকাশের দিকে ছুটে যায়। এটি কক্ষপথে পৌঁছাতে নির্ধারিত ৩৩ মিনিট সময় নেয়।
স্পেসএক্সের ফ্যালকন-৯ রকেটের নতুন সংস্করণ ব্লক ফাইভ ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টারের লঞ্চ প্যাড থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটকে সঙ্গে নিয়ে রওনা হয় জিওস্টেশনারি ট্রান্সফার অরবিটের দিকে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর রাত ২টা ৪৭ মিনিটে এ স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহটি নির্ধারিত কক্ষপথে পৌঁছেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ উৎক্ষেপণের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। উদ্বোধন ঘোষণার পূর্বে তিনি যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও রাশিয়াকে ধন্যবাদ জানান। বিশেষ করে কক্ষপথ ভাড়া দেয়ার জন্য রাশিয়ার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে নিজস্ব স্যাটেলাইটের মালিক হলো।
যে কারণে নির্ধারিত দিনে উৎক্ষেপণ হয়নি: বৃহস্পতিবার কারিগরি ত্রুটির কারণে স্থগিত হয়ে গিয়েছিল বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ। গত রাতে একাধিকবার সময় পরিবর্তনের পর সব প্রক্রিয়া শেষে শেষ মিনিটের ১৫ সেকেন্ড বাকি থাকার সময় স্পেসএক্সের ক্ষণগননার মেশিন থমকে যায়। অর্থাৎ, রকেটের যাত্রা (স্টার্টআপ মোড) শুরু হওয়ার সময়েই তা বন্ধ হয়ে যায়।
পরে স্পেসএক্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার রাতে আর উড়ছে না বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট। সাধারণত স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠানোর ক্ষেত্রে সব সময়ই একটি অতিরিক্ত দিন হাতে রাখা হয়। কারণ, প্রথম দিন কোনো সমস্যা হলে যাতে দ্বিতীয় দিনটি কাজে লাগানো যায়। আগে থেকেই স্পেসএক্স জানিয়ে রেখেছিল, দ্বিতীয় দিনটি (ব্যাকআপ ডে) শুক্রবার। পরে আজ (শুক্রবার) রাত ১২টার পর এক টুইট বার্তায় জানিয়ে দেয়, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সবকিছুই ঠিকঠাক মতো রয়েছে। আবহওয়াও বর্তমানে ৭০ ভাগ অনুকূলে রয়েছে। শেষ পর্যন্ত মহাকাশে বাংলাদেশের নাম অংকিত হলো। জাতির দীর্ঘ প্রতীক্ষার প্রহর শেষ হলো। নতুন সূচনায় বাংলাদেশ!
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন