৫০তম টেস্টে সাকিবের পর তামিমও

মাঠের বাইরে তাঁরা একে অপরের দারুণ বন্ধু। তবে মাঠে তুমুল প্রতিযোগিতা রয়েছে এ দুজন ক্রিকেটারের। রানের দিক থেকে কে কাকে ছাড়িয়ে যাবেন, এ নিয়ে অদৃশ্য একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়েছে। তাঁদের এই যুদ্ধটা অবশ্য বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য দারুণ ফল বয়ে আনছে। তবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে একে অপরকে দারুণভাবে নির্ভরতা দিয়ে চলেছেন তাঁরা। ১০ রানের মধ্যে টপঅর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার পর সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল বিপর্যয়টা সামলিয়ে চলেছেন। দারুণ ব্যাটিং করে প্রথমে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন সাকিব। খানিক বাদে তাঁকে অনুসরণ করে তামিম ইকবালও হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন।

সকালে টস জিতে ব্যাটিং নিতে ভুল করেননি বাংলাদেশের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। তবে শুরুটা ভালো হয়নি টাইগারদের। প্যাট কামিন্সের গতির কাছে হার মেনে একে একে বিদায় নিয়েছেন সৌম্য সরকার, ইমরুল কায়েস ও সাব্বির রহমান। এরপরই পাল্টা প্রতিরোধ শুরু করেন সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল। তামিম ধীরগতির শুরু করলেও সাকিব ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। ৬৬ বলে নিজের ২২তম অর্ধশতক পূর্ণ করেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।

সাকিব হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করার সময় তামিমের রান ছিল ৩৪। এরপর খুব একটা সময় নেননি তামিমও। নাথান লায়নের এক ওভারে চার ও ছয় মেরে দ্রুত ৪৯ রানে পৌঁছে যান টাইগার ওপেনার। এরপর আবার নিজেকে কিছুটা সময় দেন তিনি। ৪০তম ওভারে প্যাট কামিন্সের ১৪০ কিমির বলটাতে সিঙ্গেল নিয়ে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তামিম ইকবাল। এরপর অবশ্য নির্ভরতার সঙ্গেই খেলছিলেন তিনি। তবে ৪৬তম ওভারে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের বলে ডেভিড ওয়ার্নারকে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে ফিরে আসেন এই ব্যাটসম্যান। আউট হওয়ার আগে ১৪৪ বলে ৭১ রান করেন বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যানটি।