৫ দাবিতে মানববন্ধন করেছে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের রাঙ্গামাটির শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দ

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিচালিত “নৈতিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ উন্নয়নে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম (৮ম পর্যায়) প্রকল্প” দ্রুত অনুমোদন ও জানুয়ারি ২০২৫ হতে বকেয়া বেতন-ভাতা প্রদানসহ ৫ দফা দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারক লিপি প্রদান কর্মসূচি পালন করেছে।
শনিবার (১৭ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় রাঙ্গামাটির ডিসি অফিস গেইট সংলগ স্থানে নৈতিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ উন্নয়নে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম (৮ম পর্যায়) প্রকল্পের রাঙ্গামাটির শিক্ষক, কেয়ারটেকার ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দের আয়োজনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
এসময় মানববন্ধনে বক্তারা ৫ দফা দাবি তুলে ধরেন
১. জানুয়ারি-২০২৫ খ্রি. হতে প্রকল্প অনুমোদন করতে হবে এবং ঈদুল আজহা’র পূর্বেই সকলের বেতন ভাতা পরিশোধ করতে হবে।
২.প্রকল্পে ৩য় থেকে ৭ম পর্যায় পর্যন্ত কর্মরত বিদ্যমান জনবলকে রাজস্ব খাতভূক্ত করতে হবে।
৩. ৭ম পর্যায় প্রকল্পের বিদ্যমান জনবলকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ৮ম পর্যায় প্রকল্পে স্থানান্তর করতে হবে।
৪. কর্মী ও কেয়ারটেকারদেরকে স্কেলভূক্ত করতে হবে।
৫. শিক্ষকদের সম্মানী-ভাতা বৃদ্ধি করতে হবে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রকল্পের ১ম ও ২য় পর্যায়ে নিয়োগপ্রাপ্ত জনবল ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক ১৩/০৬/২০১৮খ্রি. জারিকৃত পত্রের মাধ্যমে ভূতাপেক্ষভাবে ০১/০৭/২০০০ খ্রি থেকে রাজস্ব খাতের আওতাভুক্ত হলেও ৩য় থেকে ৭ম পর্যায়ের জনবল এখনও রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত হয়নি।
যদিও সরকারি নির্দেশনা ছিল ১৯৯৭ সালের পূর্বের সমস্ত প্রকল্পের জনবল মেয়াদ শেষে বিনাবাধায় রাজস্ব খাতভূক্ত হবে। ৩২ বছর যাবত চলমান এই প্রকল্পের জনবলকে রাজস্ব খাতভুক্ত করতে সরকারের অতিরিক্ত একটি টাকাও প্রয়োজন না থাকলেও তা রাজস্ব খাদভুক্ত করা হচ্ছে না।
বক্তারা, প্রকল্পের মাত্র ৭০০ জন জনবলকে দ্রুত রাজস্ব খাতভূক্ত করে এবং শিক্ষক-কেয়ারটেকার ও কর্মীদের স্কেলভূক্ত করে সময়োপযোগী বেতন বৃদ্ধি পূর্বক ১লা জানুয়ারি ২০২৫ খ্রি. থেকে বকেয়া বেতন-ভাতা ঈদুল আযহার পূর্বেই প্রদানের লক্ষ্যে প্রকল্প অনুমোদনের জন্য দাবি জানান।
মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্য রাখেন রাঙ্গামাটি ইসলাম ফাউন্ডেশনের ফিল্ড অফিসার মোঃ আলী আহসান ভূঁইয়া, এসময় আরো বক্তব্য রাখেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড সুপারভাইজার (সদর) মোহাম্মদ পেয়ার আহমেদ।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কম্পিউটার অপারেটর কে. এম. জিল্লুর রহমান, মউশিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাওলানা শামসুল আলম, লংগদু উপজেলার সাধারণ কেয়ারটেকার জুবাইদুল হাসান, বাঘাইছড়ি উপজেলা সাধারণ কেয়ারটেকার মোঃ আলমগীর হোসেন, নানিয়ারচর উপজেলার মডেল মাওলানা হাসানুর রহমান।


এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন