৬ উইকেটে হেরে বিদায় নিল বাংলাদেশ
৮৪ রানের পুঁজি নিয়ে শুরুতে তাসকিন আহমেদ একটু চাপে ফেলে দিয়েছিলেন প্রোটিয়াদের। তবে সে চাপ সামলে নিয়েছে তারা। মেহেদী হাসানকে মারা ডেভিড মিলারের চারে ৩৯ বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেছে তারা। সেমিফাইনালের পথেও তারা পেয়েছে গুরুত্বপূর্ণ জয়।
অবশেষে খাতা-কলমেও বিশ্বকাপ থেকেও বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ। ৪ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটা বাংলাদেশের জন্য এখন শুধুই আনুষ্ঠানিকতার।
দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে জয়ের লক্ষ্য ছিল মাত্র ৮৫ রানের। বোলারদের মিরাকল কিছুই করতে হতো। শুরুটা অবশ্য দারুণই করেছিলেন তাসকিন-মেহেদিরা। ৩৩ রান তুলতেই প্রোটিয়ারা হারায় ৩ উইকেট। সেখান থেকে দলের জয় নিশ্চিত করেন বাভুমা ও ডুসেন। দুজনে মিলে ৪৭ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান। শেষ দিকে ডুসেন ফিরলেও দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক। ২৮ বলে ৩১ করে অপরাজিত ছিলেন তিনি।
এর আগে আবুধাবিতে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে চরম বিপর্যয়ে পড়ে টাইগাররা। প্রোটিয়া বোলারদের তোপে ৩৪ রান তুলতেই হারিয়ে বসে ৫ উইকেট। সেখান থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৮.২ ওভারে ৮৪ রানেই অলআউট হয়ে যায় টাইগাররা।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টাইগাদের এটা তৃতীয় সর্বনিম্ন স্কোর। এর আগে ২০১৬ সালের ২৬ মার্চ ভারতের কলকাতায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৫.৪ ওভারে ৭০ রানেই অলআউট হয় বাংলাদেশ। তারও আগে ২০০৭ সালে শ্রীলংকার বিপক্ষে ১৫.৫ ওভারে ৮৩ রানে অলআউট হয় টাইগাররা।
মঙ্গলবার টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা পেসার কাগিসো রাবাদার গতির মুখে পড়ে একে একে সাজঘরে ফেরেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ, সৌম্য সরকার ও মুশফিকুর রহিম। প্রথম ৩ ওভারে ১৪ রানে টাইগারদের প্রথম সারির ৩ ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরান রাবাদা।
এরপর বাংলাদেশ শিবিরে আঘাত হানেন পেসার আনরিচ নর্টজে। তার শিকার হয়ে ফেরেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ১২তম ওভারে প্রথম বোলিংয়ে এসে টাইগার শিবিরে আঘাত হানেন প্রোটিয়া লেগ স্পিনার তাবরিজ শামসি। তার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন ওপেনার লিটন দাস। দলীয় ৪৫ রানে ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরার আগে ৩৬ বলে ২৪ রান করেন লিটন।
এরপর ১৬তম ওভারের দ্বিতীয় বলে শামসির শিকার হন শামিম হোসেন। বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেনে সাকিবের পরিবর্তে বিশ্বকাপে অভিষেক হওয়া এই তরুণ ব্যাটার। দলীয় ৬৪ রানে সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরার আগে ২০ বলে ১১ রান করার সুযোগ পান শামিম।
১৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে রান আউট হয়ে ফেরেন পেসার তাসকিন আহমেদ। তার বিদায়ে ৭৭ রানে অষ্টম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শেষ দিকে ২৫ বলে ২৭ করে ফেরেন মেহেদী। হিট উইকেট হয়ে ফেরেন নাসুম।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন