৯টি আলাদা দলের হয়ে আইপিএলে খেলেছেন তিনি

আইপিএলের ইতিহাসে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ৯টি আলাদা আলাদা দলের হয়ে খেলেছেন অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। তবে সবচেয়ে অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে, একবারও আইপিএল শিরোপা জিততে পারেননি তিনি।

২০১০ সালে রাজস্থান রয়্যালসের মাধ্যমে আইপিএল যাত্রা শুরু হয় ফিঞ্চের। এরপর ২০১১ ও ২০১২ দুই আসর খেলেছেন তৎকালীন দল দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের হয়ে। ২০১৩ সালে খেলেন পুনে ওয়ারিয়র্সের হয়ে। এরপর ২০১৪-তে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং ২০১৫-তে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলেছেন। যদিও ইনজুরির কারণে মুম্বাইয়ের হয়ে আসরটিতে বেশি ম্যাচ খেলা হয়নি তার।

২০১৬ সালে নাম লেখান তৎকালীন গুজরাট লায়ন্সে। সেখানে দুই বছর কাটানোর পর ২০১৮ সালে প্রীতি জিনতার কিংস ইলাভেন পাঞ্জাব তাকে কিনে নেয়।

মাঝখানে ২০১৯ আইপিএল খেলেননি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য। এক বছর বিরতির পর ২০২০ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু কিনে নেয় তাকে। সবশেষ চলতি বছর নিলামে প্রথম দফায় কোনো দলই তাকে নিয়ে আগ্রহ দেখায়নি।

নিলামে অবিক্রীত থাকলেও শেষ পর্যন্ত কলকাতা নাইট রাইডার্স তাকে কিনে নেয়। ১ কোটি ৫০ লাখ রুপিতে তাকে দলে ভিড়িয়েছে শাহরুখের দল।

এর আগে দেড় কোটি রুপিতে ইংলিশ ব্যাটার অ্যালেক্স হেলসকে দলে ভিড়িয়েছিল কলকাতা। তবে করোনার মধ্যে জৈব সুরক্ষা বলয়ে তার জন্য থাকা কঠিন বলে আসর শুরুর সপ্তাহ ‍দুয়েক আগে আইপিএল থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করলেন তিনি। তারপর থেকে পরিবর্তিত ক্রিকেটার খুঁজতে নেমে পড়ে কলকাতা। শেষমেশ ফিঞ্চকেই পছন্দ হয় কোচ এবং কর্তাদের।

টি-টোয়েন্টিতে বেশ কার্যকরী ব্যাটার ফিঞ্চ। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে এখন পর্যন্ত ৮৮ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে খেলেছেন ফিঞ্চ। দুটি শতক ও ১৫টি অর্ধশত রানের ইনিংসের সাহায্যে মোট ২৬৮৬ রান করেছেন। অন্যদিকে আইপিএলে ৮৭টি ম্যাচ খেলেছেন। করেছেন ২০০৫ রান।