৯ বছর পর পেট থেকে বের হলো ব্লেড ও ভাঙা টিউবলাইট!

পেটে প্রচণ্ড যন্ত্রণা নিয়ে রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এক ব্যক্তি। অপারেশনের পর চিকিৎসকদের চোখ কপালে উঠার মতো অবস্থা। রোগীর পাকস্থলী থেকে বের হলো ভাঙা টিউবলাইটের টুকরো, ব্লেড, আস্ত দুইটো প্লেট।

আপাতত অসম্ভব এ কাজকেই সম্ভব করে তুলেছিলেন দিল্লির বাসিন্দা শৈলেন্দ্র সিং। ঝরঝরে ইংরেজি বলেন। বিশ্ব রাজনীতিতে অগাধ জ্ঞান। অশোক বিহারের এ বাসিন্দাকে যারা চেনেন, তারা জানেন যে কোনো জিনিস সহজেই মনে রাখতে পারেন তিনি। কারো কোনও বিষয়ে সংশয় হলে দিব্যি তা দূর করে গড়গড়িয়ে নানা ঘটনার বিবরণ দিয়ে দেন। অথচ তিনিই নাকি ভুলে গিয়েছিলেন যে, বছর নয় আগে এইসব খেয়ে ফেলেছিলেন।

আসলে ঠিক ভুলে যাননি। ভেবেছিলেন হজম করে ফেলেছেন। যোগাভ্যাস করেন শৈলেন্দ্র। তার বিশ্বাস, যোগে সব কিছুই সম্ভব। আর সেই বিশ্বাসে ভর করেই এ সব খাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। খেয়েও ফেলেছিলেন। প্রথামিকভাবে কোনো অসুবিধা হয়নি। ভেবেছিলেন সে সব হজমও হয়ে গিয়েছে। কিন্তু যোগের মহিমা শেষ পর্যন্ত বাঁচাতে পারল না। নয় বছর পরে প্রবল পেট ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হল শৈলেন্দ্রকে। আর তারপরই সামনে এল এই তথ্য।

এই সব ধাতব জিনিস খাওয়ার পরও বিশেষ কিছু অসুবিধা হয়নি শৈলেন্দ্রর। এমনিতে তিনি বিবাহিত। বছর কুড়ির সন্তানও আছে তার। যদিও পরিবারের সদস্যরা এখন তার সঙ্গে থাকেন না। একাই থাকেন তিনি।

শৈলেন্দ্রবাবুর বোন জানান, তারাও কোনোভাবেই জানতে পারেননি যে, এইসব খেয়ে ফেলেছেন তার ভাই। আপাতত অপারেশনের পর সুস্থই আছেন তিনি। হাসপাতালে চিকিৎসার পাশাপাশি তার মানসিক চিকিৎসারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে তিনি নিজেও হারমোনিয়াম বাজিয়ে অন্যান্য রোগীদের খুশি করে রাখেন।

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, নিউরো-ক্যামিক্যাল সাবস্টেন্সের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার কারণেই এই ধরনের প্রবণতা দেখা যায়। তবে এই ধরনের ঘটনা খুবই বিরল। ১ লক্ষে ১ জন মানুষই এমন কাণ্ড ঘটান। শৈলেন্দ্র সিং সেরকমই একজন বিরল মানুষ।