অচিরেই সেই সংকেত পাবেন : আতিকুল
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র প্রার্থী হতে পারবেন এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আতিকুল ইসলাম বলেছেন, সর্বোচ্চ মহল থেকে সবুজ সংকেত পেয়ে আমি মাঠে নেমেছি। আপনারাও অচিরেই সেই সংকেত পাবেন। আর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদ ওবায়দুল কাদের যে বক্তব্য দিয়েছেন ওটা তার ব্যক্তিগত।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বনানীতে অবস্থিত আতিকুল ইসলামের বাণিজ্যিক কার্যালয়ের সামনে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। আতিকুল ইসলাম বলেন, সবুজ সংকেত পাওয়ার পরেই আমি কাজ শুরু করেছি। বিভিন্ন এলাকায়, জায়গায়, গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে যাচ্ছি। এছাড়া মাঠে-ময়দানে, মসজিদ, মন্দিরে যাওয়া শুরু করেছি।
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে সবুজ সংকেত পেয়েছেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন’ এ বিষয়ে গত মঙ্গলবার আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচনের আগে বাজার বাজিয়ে দেখা বলে একটা কথা আছে, জানেন তো। এখনই কিছু বলতে চাচ্ছি না। নেত্রী (শেখ হাসিনা) তাকে ব্যক্তিগতভাবে নির্দেশনা দিয়ে থাকতে পারেন। এ বিষয়ে আমার জানা নেই।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের এই বক্তব্যের বিষয়ে বৃহস্পতিবার আতিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা ওনার ব্যক্তিগত মতামত। এ সমন্ধে আমি কোনো কমেন্টস করতে চাই না। আমি সবুজ সংকেত পেয়েছি বলেই মাঠে নেমেছি। সর্বোচ্চ মহল থেকেই সবুজ সংকেত পেয়েছি। আমার মনে হয়, আপনারাও অচিরেই সেই সংকেত পাবেন।’
তিনি বলেন, মনোনয়ন বোর্ড আছে। সেই বোর্ড থেকে ইলেকশন সিডিউল অনুযায়ী, রুটিন অনুযায়ী তারা বলবেন বলে আমি আশা করি এবং আমার বিশ্বাস আমি যদি মনোনয়ন পায়, তাহলে ঢাকাবাসীর যে স্বপ্ন আছে এবং আনিসুল হকের যে স্বপ্ন ছিল তা বাস্তবায়ন করব।
তিনি বলেন, আনিসুল হকের ওপর প্রধানমন্ত্রীর খুব আস্থা ছিল। সেটা আনিসুল হক প্রমাণ করতে পেরেছেন। কথায় না, কাজে বিশ্বাসী। আমি দেখাতে চায় যদি ইচ্ছা থাকে, তাহলে অনেক কিছুই করা যায়। দল থেকে যদি মনোনয়ন পায়, তাহলে আমাকে জিতে আসতে হবে এবং তার পরেই মেয়র হিসেবে কাজ করতে পারব ইনশাআল্লাহ।
আনিসুল হকের অসমাপ্ত কাজ শেষ করার আশাবাদ ব্যক্তি করে আতিকুল বলেন, আনিস ভাই বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন, যেগুলো অ্যাডভেঞ্চার পদক্ষেপ। যেমন ৪ হাজার বাস নামাতে হবে এবং তার সঙ্গে আরও দুই হাজার বাস নামানো। রাস্তার ট্রাফিক জ্যাম উত্তরণ। আমাদের শহর আঁচলের মতো, এটাকে আমাদের সচল করতে হবে।
‘জলাবদ্ধতা দূর করতে হবে। বাচ্চারা টুইটার, ফেসবুক ব্যবহার না করে মাঠে এসে যেন সবাই নিরাপদে খেলতে পারে, এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা যদি সবাই মিলে কাজ করতে পারি তাহলে কামিয়াব হবো’ বলেন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন