অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ
নওগাঁর ধামইরহাটে অর্থ আত্মসাৎ ও নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাদের অভিভাবকগণ স্থানীয় প্রেসক্লাবে দুঃশ্চরিত্র ওই অধ্যক্ষের অপসারণ দাবী করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
শনিবার (৮ মে) দুপুর সাড়ে ১২ টায় ধামইরহাট উপজেলা প্রেসক্লাবে অভিভাবক ও ইউপি সদস্য ওবায়দুল হোসেন ও অভিভাবক আতাউর রহমান বাবু লিখিত বক্তব্যে বলেন, উপজেলার জাহানপুর ইউনিয়নে মঙ্গলবাড়ী বাজারে অবস্থিত শহীদ আব্দুল জব্বার মঙ্গলবাড়ী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ এর অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ বিদ্যালয়ের ৩০টি অর্ধশত বর্ষী গাছ বিক্রয় করে অর্থ আত্মসাৎ, সমাজ বিজ্ঞান পদে ২য় বার শিক্ষক নিয়োগ, এমপিওভুক্ত শিক্ষককে চাকুরিচ্যুত, বিদ্যালয়ের নামে ২২ বিঘা জমির অর্থ ও শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতি বাবদ শিক্ষার্থী প্রতি জরিমানার ১০ টাকা আতœসাৎ এবং চলতি বছরে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষকের সাথে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ তোলেন অভিভাবকরা।
ইতিপূর্বে দীর্ঘদিন চাকুরিচ্যুতও ছিলেন তিনি। অধ্যক্ষ ও সহকারী প্রধান শিক্ষিকার অনৈতিক সম্পর্কের কারণে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা আর স্কুলে যেতে চায়না বলে অভিভাবকরা জানান। ভুক্তভোগীরা অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ ও সহকারী প্রধান শিক্ষিকা সুমাইয়া উম্মে সামছি’র অপসারণ দাবী করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ২০১৫ সালে শহীদ আব্দুল জব্বার মঙ্গলবাড়ী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়টি কলেজ হিসেবে অনুমোদন পেয়েছে। আমার বিরুদ্ধে যে নারী কেলেঙ্কারীসহ অন্যান্য অভিযোগ উঠেছে বা টিভিতে প্রচার হয়েছে সেগুলোকে আমি চ্যালেঞ্জ করে জয়পুরহাট বিজ্ঞ আদালতে ৫৩/২০২১ নম্বর মামলা দায়ের করেছি। আমার বিরুদ্ধে যা অভিযোগ করা হচ্ছে তা সবই মিথ্যা আদালতেই সবকিছুর সমাধান হবে। আর যারা অভিযোগ করেছে তারা কমিটির কেউ নয়।
ভুক্তভোগী সম্মেলনকারীগণ অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং অন্যান্য অভিযোগকারী অভিভাবকদের সাথে শ্রীঘ্রই মানববন্ধন করবেন বলে জানান।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন