অনলাইনে ট্রেনের টিকিট বিক্রি বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
অনলাইনে বিক্রি বন্ধ থাকায় ট্রেনের টিকিটপ্রত্যাশীদের ভোগান্তির শেষ নেই। দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়েও টিকিট না পেয়ে ক্ষুব্ধ যাত্রীরা। সেই সঙ্গে কালোবাজারির অভিযোগও করেছেন অনেকে। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবারও শতভাগ টিকিট কাউন্টারে বিক্রি করে রেলওয়ে। এদিকে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২৬ মার্চ থেকে আবারও অনলাইনে টিকিট বিক্রি কার্যক্রম শুরু হবে।
কমলাপুর রেলস্টেশনে ঈদের সময়ের মতো টিকিটপ্রত্যাশীদের উপচে পড়া ভিড়। সকাল ৮টায় টিকিট বিক্রি শুরু হলেও ভোররাত থেকেই কাউন্টারের সামনে পা ফেলার জায়গা ছিল না। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় চারপাশ। অনলাইনে হঠাৎ টিকিট বিক্রি স্থগিত হওয়ায় দুর্ভোগে যাত্রীরা।
দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও টিকিট না পাওয়ার বিষয়ে টিকিটপ্রত্যাশীরা বলেন, আমরা সকাল ৭টায় আসছি। এখনো লাইনের তিন ভাগের এক ভাগ পার করতে পারিনি। টিকিট পাওয়ার আশায় লাইনে দাঁড়িয়েছি, তবে শেষ পর্যন্ত পাব কি না, তা জানি না। মানুষ যে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এভাবে কষ্ট করছে। এখানে কর্তৃপক্ষের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই।
এদিকে শুধু অনলাইনেই নয়, সার্ভার না থাকায় কম্পিউটারও বন্ধ। তাই হাতে লেখা টিকিটের ধীরগতি আর ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ টিকিটপ্রত্যাশীরা। নিজেদের ভোগান্তির বিষয়ে তারা বলেন, গরমের মধ্যে সেই সকাল সাড়ে ৬টা থেকে দাঁড়িয়ে আছি। এখানে কোনো ফ্যান নেই। গরমে আমাদের অবস্থা অনেক খারাপ হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ অনেক ধীরগতিতে কাজ করছে। আবার অনেকে লাইনের মাঝে ঢুকে টিকিট কিনে নিয়ে যাচ্ছে।
এ অবস্থার মধ্যেই কাউন্টারের বাইরে বেশি দামে মিলছে ট্রেনের টিকিট। যাত্রীদের অভিযোগ বুকিং সহকারীদের সহায়তায় টিকিট চলে যাচ্ছে কালোবাজারিদের হাতে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে কমলাপুর রেলস্টেশনের ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার বলেন, রেলের টিকিট বিক্রির প্রক্রিয়ার পরিবর্তনের জন্য সাময়িক ভোগান্তি হচ্ছে। এ পরিস্থিতি ২৬ মার্চ থেকে স্বাভাবিক হবে।
সহজ ডটকমের মাধ্যমে একটি নতুন সিস্টেম প্রবর্তন হওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, এই পাঁচ দিন ম্যানুয়ালি টিকিট বিক্রি হচ্ছে।
উল্লেখ্য, রেলের টিকিট বিক্রির পদ্ধতি ১৫ বছর পর পরিবর্তন হচ্ছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন