“অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করতে ফ্যাসিবাদ শক্তি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত”

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করে দিতে ফ্যাসিবাদ বিরোধী শক্তি দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এই সরকারকে কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না। জনগণের এ মিছিল কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত শোভাযাত্রা পূর্ব সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তারেক রহমান বলেন, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর ছিল বাংলাদেশের শত্রু-মিত্র চেনার দিন। আর ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছিল বাংলাদেশের শত্রু চিহ্নিত করার দিন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের পক্ষের শক্তি ঐক্যবদ্ধ থাকলে আর কেউ দেশের স্বাধীনতাকে বিপন্ন করতে পারবে না। আজকের এই মিছিল কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে না, এই মিছিল হলো বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষার মিছিল। নিজের অধিকার রক্ষার মিছিল। নিজের ভোট প্রয়োগের অধিকার প্রতিষ্ঠার মিছিল।

তারেক রহমানের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের পর শুরু হয় শোভাযাত্রা। নয়াপল্টন থেকে কাকরাইল মোড়, মৎস্যভবন, শাহবাগ, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার ও ফার্মগেট হয়ে এটি মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে গিয়ে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

মিছিলের আগে নয়াপল্টনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, কেন্দ্র, মহানগর ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই নয়াপল্টনে বিএনপির নেতাকর্মীদের ঢল নামে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে তারা আসেন শোভাযাত্রায় অংশ নিতে। জুমার পর পল্টন ও আশপাশের এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে। বন্ধ হয়ে যায় যানবাহন চলাচল।

এর আগে সভাপতির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর শেখ হাসিনা তার দোসর বাহিনী দিয়ে এই দেশকে লুটপাট করে খেয়েছে। আমরা ১৭ বছর তার বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। সর্বশেষ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে হাসিনা দেশ থেকে পালিয়েছে। কিন্তু তার দোসররা এখনো ঘাপটি মেরে বসে আছে। আমরা যে কোনো অপশক্তিকে উৎখাত করতে প্রস্তুত আছি। এজন্য আমরা সব সময় ঐক্যবদ্ধ আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব।

তিনি আরও বলেন, যেভাবে ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের হাল ধরেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, তারপর হাল ধরেছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। আর এখন হাল ধরেছেন তারেক রহমান।