অন্যকে আল্লাহর দুশমন বলে গালি দিলে কী হয়?
অনেক সময় মানুষ নিজের বংশ-পরিচয় গোপন করে থাকে। কেউ কেউ নিজের পিতা-মাতার পরিচয় অস্বীকার করে। অনেকেই নিজের মূল বংশ পরিচয় গোপন রেখে অন্য বংশের বলে দাবি করে। অনেকে আক্রমণাত্মকভাবে একে অপরকে আল্লাহ-রাসুলের দুশমন বলে আখ্যায়িত করে। পরিচয় গোপন কিংবা আল্লাহ-রাসুলের দুশমন বলে কাউকে গালি দেয়া কি ঠিক? এ সম্পর্কে ইসলামের নির্দেশনাই বা কী?
বংশ বা পিতা-মাতার পরিচয় জানা থাকার পরও নিজের পরিচয় গোপন রাখা মারাত্মক অপরাধ। হাদিসের বর্ণনায় তা কুফরির শামিল। আবার নিজের বংশ-পরিচয় জানা থাকার পরও যারা নিজেকে অন্য বংশের লোক বলে পরিচয় দেয় তাদেরকে জাহান্নামী বলেছেন স্বয়ং বিশ্বনবি। হাদিসে এসেছে-
হজরত আবু যার গিফারি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছেন, যে ব্যক্তি নিজের পিতা সম্পর্কে অবগত থেকেও অপর কাউকে পিতা বলে দাবি করে সে কুফরি করল। আর যে ব্যক্তি নিজেকে এমন বংশের লোক বলে দাবি করে, যে বংশের সঙ্গে তার আদৌ কোনো সম্পর্ক নেই, সেই ব্যক্তি নিজের বাসস্থান জাহান্নামে তৈরি করে নিলো। আর যে ব্যক্তি অপর ব্যক্তিকে কাফের বলে ডাকলো অথবা বললো হে আল্লাহর দুশমন!, অথচ সে এরূপ (আল্লাহর দুশমন) নয়, তখন তার (এ সম্ভোধন) নিজের দিকেই ফিরে আসবে। (মুসলিম)
হাদিসের আলোকে উল্লেখিত তিনটি কাজই মারাত্মক ক্ষতির। কেউ কুফরি করল। কেউ জাহান্নামে স্থান করে নিল। আবার কেউ নিজেকে আল্লাহর দুশমন বানিয়ে নিল।
মুমিন মুসলমানের করণীয়
-কখনো নিজের বংশ ও পিতা-মাতার পরিচয় গোপন না করা। আর এমনটি করার ফলে মানুষ ঈমানহীন হয়ে যায়। (নাউজুবিল্লাহ)
– সঠিক বংশ পরিচয়ে বেড়ে ওঠা ঈমানের দাবি। জানা না থাকলে নির্ভরযোগ্য সূত্র ছাড়া অন্য বংশের পরিচয় না দেয়াও জরুরি। কারণ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ বিষয়টিতে বলেছেন, যারা বংশ পরিচয় গোপন করে অন্য পরিচয় দেয় তারাও জাহান্নামি।
– নিজেকে এমন প্রবণতা থেকে বিরত রাখা, যে কাজে নিজেই আল্লাহর দুশমন হয়ে যায়। অর্থাৎ কাউকে না জেনে আল্লাহর দুশমন বলে গালি না দেয়া।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসের ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন। বংশ পরিচয় গোপন করা থেকে মুক্ত থাকার তাওফিক দান করুন। না জেনে নিজেকে অন্য বংশের বলে পরিচয় দেয়া থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। অন্যকে আল্লাহর দুশমন বলে গালি দেয়া থেকেও বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন