অন্যের সন্তান চুরি করে ভাই-ভাবিকে দিলেন বোন
সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়ার পাঁচ দিনের মাথায় ১১ মাস বয়সী শিশু মাইসা আক্তারকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার রাত ৯টার দিকে নগরের শিবগঞ্জ হাতিমবাগ ৫০/১ লুফাই মিয়ার বাসা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার ও চুরির সঙ্গে জড়িত নারীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।
এরা হলেন- শিশু চুরির ঘটনার মূল হোতা নগরীর লালা দিঘীরপাড়ের শামীম মিয়ার স্ত্রী শিউলি বেগম (২৫), তার ভাই শিবগঞ্জ হাতিমবাগের আলী হোসেনের ছেলে বাদশাহ মিয়া (৩০) এবং বাদশাহ মিয়ার স্ত্রী ফারজানা আক্তার সাকী (২৫)।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাবুল মিয়া জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। শিশু চুরির মূল হোতা শিউলি বেগম। তিনি শিশুটি চুরি করে তার নিঃসন্তান ভাই ও ভাবিকে দেন। মঙ্গলবার শিশু মাইশাকে তার বাবা-মায়ের জিম্মায় দেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওসমানী হাসপাতালের নতুন বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয়তলায় বহির্বিভাগে শিশুটিকে দেখাতে গিয়ে মা সুমি বেগমের কাছ থেকে চুরি হয় শিশু মাইশা। এ ঘটনায় সিলেটের দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজারের নৈইখাই গ্রামের আলী হোসেনের স্ত্রী সুমি বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত নারীকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন