অপহরণ করে শিশুর বাবার সঙ্গেই ‘মাইকিং’
তেজগাঁও এলাকার পূর্ব নাখালপাড়া থেকে শিশু তোয়াসিন ইসলাম সিমনকে অপহরণ করার পর, শিশুটির খোঁজ পেতে তার বাবার সঙ্গে এলাকায় মাইকিং করে অপহরণকারী রোমান।
শিশু সিমনদের বাসার পাশেই থাকতো রোমান। মোটা অংকের মুক্তিপণ আদায় করতেই সে সহযোগীদের নিয়ে কৌশলে সিমনকে অপহরণ করে। পরে এলাকায় মাইকিং করার নাটক সাজায়, যাতে শিশুটির পরিবারের কেউ তাদের সন্দেহ না করে।
তবে অপহরণের ২৭ ঘণ্টা পর রাজধানীর বিজয় সরণি এলাকা থেকে অপহৃত সেই শিশুকে উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় জড়িত রোমানসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়।
বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তেজগাঁও জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) বিপ্লব কুমার সরকার।
গ্রেফতাররা হলেন, রোমান, তার স্ত্রী মীম আক্তার রিয়া, শহীদুল ইসলাম মানিক, জিসান মিয়া, সাইফুল ইসলাম ইমন ও মো. আলী আহমেদ। এ ঘটনায় জড়িত আরেক নারীকে খুঁজছে পুলিশ।
ডিসি বিপ্লব বলেন, মঙ্গলবার রাতে নাখালপাড়া এলাকার বাড়ির বারান্দায় খেলছিল শিশু সিমন। তখন তার বাবা সাইফুল ইসলাম অফিসে এবং মা রান্নাঘরে ছিলেন। তখনই সুযোগ বুঝে সিমনকে অপরহণ করেন রোমান। শিশুটিকে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে একটি বাড়িতে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়।
তিনি আরো বলেন, বুধবার সকালে অপহরণকারীরা সিমনের বাবার কাছে একটি মোবাইল নাম্বার থেকে ফোন করে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। পরে সিমনের বাবা ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে রাজি হন।
তেজগাঁও জোনের ডিসি বলেন, পরে সিমনের বাবা ঘটনাটি পুলিশকে জানান এবং থানায় মামলা করেন। পুলিশ প্রযুক্তি ব্যবহার করে জানতে পারে ওই মোবাইল নাম্বারটির মূলত রোমানের এবং সেই ওই চক্রের মূলহোতা। বৃহস্পতিবার পুলিশ অভিযান চালিয়ে রোমান ও তার সহযোগীদের গ্রেফতার করে।
এ সময় শিশু সিমনকে অচেতন অবস্থায় রাজধানীর বিজয় সরণি এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
শুক্রবার গ্রেফতারদের আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড আবেদন করা হবে বলেও জানান তিনি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন