অপারেশন টেবিলে রোগী রেখে ডাক্তারদের তর্কাতর্কি
অপারেশন থিয়েটারের টেবিলে শুয়ে আছেন অন্তসত্ত্বা নারী। অস্ত্রোপচার করা হবে একটু পরে। কিন্তু তাকে সেই অবস্থায় রেখে দুই ডাক্তার ভীষণ তর্ক চালিয়ে যাচ্ছেন। ভিডিওতে ধারণ করা দুই ডাক্তারের এই কান্ড ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর তাদেরকে সাময়িকভাবে পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। খবর বিবিসির।
ভারতের রাজস্থানের উমেইদ হাসপাতালে ঘটনাটি ঘটেছিল। এটির ভিডিও ইন্টারনেটে ফাঁস হওয়ার পর ব্যাপকভাবে শেয়ার হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিও দেখার পর ক্ষোভে ফুসছে মানুষ। মানুষের মধ্যে প্রচন্ড ক্ষোভ সৃষ্টি করে দুই ডাক্তারের এই আচরণ।
তবে উমেইদ হাসপাতালের একজন ডাক্তার জানিয়েছেন, যে অন্তসত্ত্বা নারীর সন্তান জন্ম দেয়ার সময় এই ঘটনা ঘটে, তিনি এবং তার নবজাতক শিশু, দুজনই সুস্থ আছেন। ভিডিওটি কে ফাঁস করেছে তা স্পষ্ট নয়। তবে একজন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন যে হাসপাতালেরই কেউ এটি প্রকাশ করে দেয়। শুরুতে কোন কোন গণমাধ্যমে রিপোর্ট করা হচ্ছিল যে ছবিতে যে অন্তসত্ত্বা মহিলাকে দেখা যাচ্ছে, তার জন্ম দেয়া শিশুটি শেষ পর্যন্ত বাঁচেনি। কিন্তু যোধপুরের উমেইদ হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট ড: রঞ্জনা দেশাই জানিয়েছেন, এটি সত্য নয়।
তিনি বলেন, “হাসপাতালে একটি শিশু মারা গিয়েছিল এটা সত্য। তবে সেই শিশুটির জন্ম হয়েছিল ঐ একই অপারেশন থিয়েটারে আরেকটি টেবিলে। সেখানে আরেকজন মহিলা একটি মৃত সন্তান প্রসব করেন। এই দুটি ঘটনার মধ্যে কোন সম্পর্ক নেই।”
যে দুজন ডাক্তারকে ভিডিওতে তর্ক করতে দেখা যাচ্ছে, তারা পরস্পরকে অপমানসূচক কথাবার্তা বলছিল। অন্তসত্ত্বা মহিলা অপারেশনের আগে কিছু খেয়েছিল কিনা, সেটা নিয়ে তারা তর্ক করছিল।
ড: দেশাই জানিয়েছেন, এই দুই ডাক্তারকে বরখাস্ত করা হয়নি। তাদেরকে পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে এই ঘটনার আভ্যন্তরীণ তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত। কে এই ভিডিওটি ফাঁস করেছিল, সেটিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে দেখছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন