অপুকে নিয়ে ডিভোর্সের শুনানি চলছে, আসেননি শাকিব

গেল বছরের ২৮ নভ্ম্বের স্ত্রী অপু বিশ্বাসকে তালাক নোটিশ পাঠিয়েছেন শাকিব খান। অনেকটা সময় পার হয়ে গেলেও এই নোটিশের বিপরীতে কোনো ভূমিকা দেখা যায়নি অপুর। এদিকে তালাকের বিষয়ে শুনানির জন্য শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসকে তলব করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।

সোমবার (১৫ জানুযারি) ডিএনসিসি’র অঞ্চল-৩-এর অফিসে এই নোটিশের শুনানি হবার কথা ছিলো। নির্ধারিত তারিখেই শুনানিতে হাজির হতে সিটি আজ সাড়ে ১২টার দিকে করপোরেশনে উপস্থিত হয়েছেন অপু বিশ্বাস। তবে হাজির হননি শাকিব খান। তিনি বর্তমানে ছবির শুটিং নিয়ে ব্যাংককে ব্যস্ত রয়েছেন। তাকে ছাড়াই শুনানির কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

শাকিবের ডিভোর্স নোটিশের প্রেক্ষিতে গেল ২৪ ডিসেম্বর শাকিব ও অপুর কাছে চিঠি পাঠায় সিটি করপোরেশন। ডিএনসিসি কর্মকর্তারা জানান, শাকিব খানের তালাকের নোটিশটি ডাক যোগে ডিএনসিসির কাছে পৌঁছনোর পর তারা নিয়ম অনুযায়ী পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করেছেন। সে অনুযায়ী আজ ১৫ জানুয়ারি তাদের শুনানির জন্য ডাকা হয়েছে। শুনানির দিনে দুজনেরই বক্তব্য নেয়া হবে।

তারা যদি আবার স্বামী-স্ত্রী হিসেবে থাকতে রাজি হন তাহলে তারা সংসার করবেন। অন্যথায় তাদেরকে আরো দুইবার নোটিশ দিয়ে শুনানি করা হবে। এর মধ্যে তারা নিজেরা মিলমিশ করতে চাইলে তা করতে পারবেন। তাতে ধর্মীয় রীতির কোনো সমস্যা হবে না। আর যদি তারা তিনবার শুনানির পরও একসঙ্গে না থাকতে চান তবে নিয়মানুযায়ী তালাক কার্যকর হয়ে যাবে।

প্রসঙ্গত, শাকিব-অপু চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় জুটি। আলমগীর-শাবানার ১২৬টি ছবির জুটির পর তারাই সর্বোচ্চ জুটি হিসেবে সত্তরটিরও বেশি ছবিতে কাজ করেছেন। কাজের সূত্রেই সম্পর্কের গভীরতা ও প্রেম। এরপর তারা ২০০৮ সালে বিয়ে করেন। দীর্ঘ নয় বছর সেই বিয়ের খবর ছিলো গোপন।

গেল বছরের মে মাসে অপু সন্তানসহ প্রকাশ্যে আসেন এবং বিয়ের খবর প্রকাশ করেন। এরপর থেকেই শাকিব-অপুর দাম্পত্যে ফাটল ধরে। শাকিবের আদেশ অমান্য করে বিয়ের খবর প্রকাশ করাতেই অপুর উপর ক্ষুব্দ হন তিনি। অবশেষে সেই ক্ষোভের রেশ নিয়েই শেষ হতে চলেছে এই দুই তারকার দাম্পত্য জীবন।