অবশেষে ‘প্রকাশ্যে’ হানিপ্রীত
ধর্ষক বাবা গুরমিত রাম রহিম জেলে যাওয়ার পর থেকেই বেপাত্তা তার পালিত কন্যা হানিপ্রীত ইনসান। হরিয়ানা পুলিশ দেশজুড়ে সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছে তাকে পেতে। চাউর উঠেছে, হানিপ্রীত নেপালে আত্মগোপন করেছেন। এবেলার খবরে বলা হয়, এমর জল্পনা-কল্পনার মধ্যে সকলের নজর থেকে দূরে থাকা হানিপ্রীত সোমবার দিল্লি হাইকোর্টে আগাম জামিন আবেদন করেছেন। মঙ্গলবার কার্যকরি প্রধান বিচারপতি গীতা মিত্তলের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছেন।
হানিপ্রীতের আইনজীবী প্রদীপকুমার আর্য পিটিআইকে জানান, তার মক্কেল (হানিপ্রীত) দিল্লি হাইকোর্টের কাছে আগাম জামিনের পিটিশন জমা দিয়েছেন।
প্রিয়াঙ্কা তানেজা ওরফে হানিপ্রীত হরিয়ানা পুলিশ প্রকাশিত ৪৩ জন ‘ওয়ান্টেড’ তালিকার শীর্ষে রয়েছেন। তিনি ছাড়াও রাম রহিমের ডেরা সাচ্চা সৌদার অন্যতম দুই মাথা পবন ইনসান ও আদিত্য ইনসানও সেই তালিকার শীর্ষে রয়েছেন।
হানিপ্রীত ধর্ষণের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত ধর্মগুরু রাম রহিমের পালিতা কন্যা। যদিও পরে জানা যায়, তার সঙ্গে রাম রহিমের সম্পর্ক অন্যরকম। বাবা-মেয়ের ব্যাপারটা ছিল সাজানো।
আদৌতে হানিপ্রীত ছিলেন রাম রহিমের প্রধান যৌন সঙ্গীনি। তাদের নানা কাণ্ডের কথা ক্রমশ প্রকাশ্যে এসেছে।
সম্প্রতি হানিপ্রীতের স্বামী বিশ্বাস গুপ্ত সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছেন, তিনি হানিপ্রীত ও রাম রহিমকে এক বিছানায় নগ্ন অবস্থায় দেখেছেন।
রাম রহিমকে রোহতকের জেলে নিয়ে আসার সময়েও হেলিকপ্টারে তার সঙ্গে ছিলেন হানিপ্রীত। এমনকি, রাম রহিমের সাজা ঘোষণার পরে হওয়া হিংসাত্মক ঘটনার অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে তার নাম সামনে উঠে এসেছে।
এখন দেখার, আদালত হানিপ্রীতের আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে কি না? জামিন পেলে হয়তো তিনি সত্যি সত্যি প্রকাশ্যে আসবেন!
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন