অবহেলা-অযত্নে নষ্ট হচ্ছে ট্রেনের শত শত বগি

খোলা আকাশের নীচে অবহেলা আর অযত্নে নষ্ট হচ্ছে ট্রেনের আট শতাধিক যাত্রীবাহী বগি। দীর্ঘদিন রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে মরিচা ধরে খসে পড়ছে সেগুলো।সঠিক সময়ে মেরামত কিংবা বিক্রয়ের পদক্ষেপ না নেয়ায় ধ্বংস হচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় সম্পদ। অন্যদিকে বগি সংকটে দুর্ভোগ কাটছে না রেলপথের যাত্রীদের। তাদের দাবি বগিগুলো কাজে লাগানো হোক রেলের উন্নয়নে। পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস রেলমন্ত্রীর।

প্লাট ফরমে ট্রেন আসলেই যাত্রীদের এই হুড়োহুড়ি প্রতিদিনের। আসন তো দূরের কথা একটু দাঁড়ানেরা যায়গা পেতেও যুদ্ধ করতে হয় তাদের। কানায় কাঁনায়পূর্ণ ট্রেনের ভেতরে যায়গা না পেয়ে, ছাদে ইঞ্জিনে এমন কি দরজায় ঝুলে ঝুঁকি নিয়েই পাড়ি দিতে হয় অনেক সময়।

অথচ সারাদেশে খোলা আকাশের নীচে অবহেলা আর অযত্নে নষ্ট হচ্ছে আট শতাধিক যাত্রীবাহী বগি। কমলাপুর লোকোশেডে পড়ে থাকা এই বগি গুলো বিভিন্ন সময় আনা হয় মেরামতের জন্য। দীর্ঘ সময় পড়ে থাকার কারণে মরিচা ধরে খসে পড়তে শুরু করেছে, ভেঙ্গে পড়ছে দরজা জানালা, নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান সব যন্ত্রাংশ।

বগিগুলো মেরামতের জন্য আনা হলেও, দীর্ঘদিন পড়ে থাকার কারণে এগুলোকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান প্রধান ট্রেন পরীক্ষক মনিরুজ্জামান মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘চলার একেবারে অনুপযোগী হলে, মেরামতের অনুপযোগী হলে তখন এই বগিগুলোকে আমরা নষ্ট ঘোষণা করি। এসব এখন বিক্রি হবে।’

রেলমন্ত্রী বলছেন বিক্রয় প্রক্রিয়া জটিল হওয়ার ফলে, অনেক সময় পার হয়ে যায়। তবে দ্রুত এসব বগির ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।

রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা আছেন তারা তদন্ত করে দেখে এগুলো আর চালানো যাবে না। তখন আমরা টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি করে থাকি। এগুলো ইচ্ছে করলেই কোনো ব্যক্তি দেওয়ার সুযোগ নেই। এটা চলমান প্রক্রিয়া।’

রেলের পূর্বাঞ্চলে প্রায় ৫০০ ও পশ্চিমাঞ্চলে প্রায় ৩০০টি পরিত্যক্ত বগি পড়ে আছে বলে জানাচ্ছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।