অবহেলা আর দুর্নীতিতে ভারাক্রান্ত বাংলাদেশ রেলওয়ে

অবহেলা, অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতিতে ভারাক্রান্ত শত বছরের ঐতিহ্যবাহী রেলওয়ে। স্বাধীনতার পর থেকে ঋণদাতা সংস্থাগুলোর চাপে সংকুচিত হয়েছে রেলপথ, কমেছে সেবার মান। অথচ দিন দিনই যাত্রী ও মালামাল পরিবহনে নিরাপদ বাহন হিসেবে বেড়েছে রেলের জনপ্রিয়তা। তাই এ খাতে সংস্কার ও বিনিয়োগ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। খবর সময়টিভির।

স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে রেলপথের পরিমাণ ছিল আড়াই হাজার কিলোমিটার। অথচ ৭৫ পরবর্তী সময়ে বৈদেশিক ঋণ নির্ভরতা ও পরামর্শে ক্রমেই সংকুচিত হয়েছে রেলপথ। অন্যদিকে অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির কারণে যাত্রীসেবার কাঙ্ক্ষিত মানে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে রেলওয়ে। দিনে দিনে বেড়েছে লোকসানের বোঝা।

যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. সালেহ উদ্দিন বলেন, ক্ষতির মূল কারণ হচ্ছে অদক্ষতা, দেখাশোনার অভাব। তেল চুরি হচ্ছে, যন্ত্রাংশও চুরি হচ্ছে। এখানে উচিত দক্ষ কর্মী দেয়া।

পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউট নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ. মনসুর বলেন, ‘অব্যবস্থাপনা হচ্ছে সব থেকে বড় কারণ। এটাকে ডিজিটালাইজড করলে সব ঠিক হয়ে যাবে।

বিশ্বজুড়ে যেখানে বিনিয়োগ বেড়েছে, যাত্রী ও মালামাল পরিবহনে প্রাধান্য পেয়েছে রেলপথ; সেখানে বাংলাদেশে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার এমন পরিণতি দুঃখজনক বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. সালেহ উদ্দিন বলেন, যতগুলো রেলওয়ে পাস আছে, সবগুলোকে ওভারপাস এবং আন্ডারপাস করে দেয়া যাতে ডাবল লেন হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতি ৫-৭ মিনিট পরে প্যাসেঞ্জার ট্রেন যেন দ্রুত চলে যেতে পারে। কোথাও থামতে না হয়।

যাত্রীর পাশাপাশি মালামাল পরিবহনের প্রধান মাধ্যম হিসেবে রেলকে বিবেচনা করারও পরামর্শ তাদের।