অবাধে চলছে খাগড়াছড়ির ৯টি উপজেলায় অবৈধ বালু উত্তোলন!
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার ৯টি উপজেলাতে অবৈধ বালু উত্তোলন অহরহ সরগরম, প্রশাসন রয়েছে নিরব ভুমিকায়।
খোদ খাগড়াছড়ি জেলাশহর কোম্পানী কমপ্লেক্স রাজ্যমনি পাড়া, দীঘিনালা, পানছড়ি, মাটিরাঙ্গা, রামগড় এবং মানিকছড়ি এলাকায় অবৈধ মাটি ও বালি পাচারকারি এবং সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে পুরো খাগড়াছড়ি।
এতে জড়িত রয়েছে দেড় শতাধিক বালু মহাল।
গুরতর অভিযোগ রয়েছে, প্রশাসনকে ম্যানেজ করে একেরপর এক পাহাড় কর্তন, মাটি পাচার, ইজারা ব্যতিরেখে খাল থেকে অবৈধ বালি উত্তোলন করে যাচ্ছে এই সিন্ডিকেটের সদস্যরা।
বিভিন্ন ইটের ভাটাসহ বাহিরের এলাকায় পাঠানো হচ্ছে এসব বালু ও মাটি।
বুধবার (২৬ মে) সরেজমিন গিয়ে খাগড়াছড়ি জেলা শহর কোম্পানী কমপ্লেক্স রাজ্যমনি পাড়া, দীঘিনালা, পানছড়ি, মাটিরাঙ্গা, রামগড় এবং মানিকছড়ি এলাকায় বিভিন্ন লোকজনের সাথে কথা বলে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে৷
স্থানীয়রা বলছে, এই এলাকায় পাহাড় খেকো ও বালু উত্তোলন কারবারি একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। তারা স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে পাহাড় কাটে এবং খালে বালু উত্তোলনের মেশিন বসিয়ে বালি উত্তোলন করে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, এখানে বিশাল একটি সিন্ডিকেট হয়েছে। তাদের সিন্ডিকেটের মধ্যে রয়েছে-খাগড়াছড়ি জেলাশহর, দীঘিনালা, পানছড়ি, মাটিরাঙ্গা, রামগড় এবং মানিকছড়ি এই সকল সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে দেড় শতাধিক অবৈধ বালু মাহাল।
বিভিন্ন উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি)দের সাথে মোবাইল ফোনে বক্তব্য নিতে চাইলে তারা অফিসে গিয়ে চা পানের আমন্ত্রণ জানিয়ে ফোন কেটে দেন।
সুত্রে জানা যায়, প্রভাবশালীরা এসব অপকর্মে জড়িত বলে কোন সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। ‘খাগড়াছড়ি পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলন’-এর পক্ষ থেকে একটি কর্মসূচি আয়োজন করার উদ্যোগ নিয়েছিল।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন