অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনই সরকারের প্রধান অঙ্গীকার: বাজেট বক্তৃতায় অর্থ উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বাজেট বক্তৃতায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, তাদের অন্যতম অগ্রাধিকার একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন। এই লক্ষ্যেই নির্বাচনী ব্যবস্থার ব্যাপক সংস্কার শুরু করা হয়েছে, যা ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক রূপান্তরের ভিত তৈরি করবে।
সোমবার (২ জুন) বিকেলে বিটিভি ও অন্যান্য বেসরকারি গণমাধ্যমে একযোগে সম্প্রচারিত বাজেট উপস্থাপনায় তিনি বলেন, ‘গত দেড় দশকে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা কার্যত ধ্বংস হয়ে গেছে। তাই আইনি কাঠামো, নীতিমালা ও প্রশাসনিক আদেশ সংস্কার করে আমরা আস্থা ফিরিয়ে আনতে চাই।’
অর্থনৈতিক দিক থেকে এবারের বাজেট একাধিক দিক দিয়ে ব্যতিক্রম। প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা—চলতি বছরের তুলনায় ৭ হাজার কোটি টাকা কম। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একটি বাজেট পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় কম আকারে প্রস্তাব করা হলো।
রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা। বাজেট ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা, যা দেশের মোট জিডিপির ৩.৬২ শতাংশ। এই ঘাটতি মেটাতে সরকার ব্যাংক ও বৈদেশিক ঋণের পাশাপাশি সঞ্চয়পত্র বিক্রির ওপর নির্ভর করবে।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি এবং সামষ্টিক অর্থনীতির ভারসাম্য রক্ষা এবারের বাজেটের মূল লক্ষ্য। পাশাপাশি, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী সম্প্রসারণ, গ্রামীণ কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও অবকাঠামো উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ড. সালেহউদ্দিনের ভাষায়, ‘এ বাজেট কেবল আর্থিক পরিকল্পনা নয়, এটি একটি রূপান্তরের রূপরেখা। আমাদের লক্ষ্য হলো অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক আস্থার পরিবেশ নিশ্চিত করা।’

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন