অর্থমন্ত্রী উচিত-অনুচিতের ধার ধারেন না : রিজভী

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত উচিত-অনুচিতের এথিকসের (নৈতিকতা) ধার ধারেন না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে-সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ে ক্ষুব্ধ সরকার। যার প্রথম কিছুটা আভাস পাওয়া যায় ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে অর্থমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়ায়।’

বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রিজভী।

বিএনপির নেতা বলেন, “সোমবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ নিয়ে নাকি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা। একই সঙ্গে রায়ের পর্যবেক্ষণে দেওয়া অনেক বক্তব্যকে ‘আপত্তিকর’ বলে অভিহিতও করেছেন তাঁরা। রায়ের পর্যবেক্ষণে দেওয়া ‘আপত্তিকর’ বক্তব্য প্রত্যাহার করতে সরকারের পক্ষ থেকে প্রধান বিচারপতি বরাবর লিখিত আবেদন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে আমরা গণমাধ্যম সূত্রে জেনেছি।’

আপিল বিভাগের পর্যবেক্ষণে আপত্তিকর বিষয় রয়েছে বলে তা প্রত্যাহার করতে বলাকে সরকারের ‘চরম ধৃষ্টতা’ বলেও উল্লেখ করেন রুহুল কবির। তিনি বলেন, ‘গতকাল মহামান্য হাইকোর্টের একটি আদেশে বলা হয়েছে, আপিল বিভাগের পর্যবেক্ষণ মানা অবশ্যই বাধ্যতামূলক। সুতরাং ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ে যে পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়েছে, এরপরও সেখানে আপত্তিকর বিষয় বলে প্রত্যাহার করা বলাটা সরকারের চরম ধৃষ্টতা। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের উক্ত পর্যবেক্ষণে সরকারের আসল চরিত্রটা সঠিকভাবে চিত্রিত হওয়ার কারণেই তাঁদের ক্ষুব্ধ হওয়া।”

এই পর্যবেক্ষণের পর সরকার আর কর্মক্ষম থাকতে পারে না, জাতীয় সংসদের আর কোনো বৈধতা থাকতে পারে না বলেও উল্লেখ করেন বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘সরকারের ক্ষমতায় থাকাটা শুধু বেআইনি নয়, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়ে ফেলেছে।’

পর্যবেক্ষণে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন এবং অখণ্ড নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে উল্লেখ করে রিজভী প্রশ্ন রাখেন, ‘তাহলে আওয়ামী লীগের দলীয় লোক প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে কীভাবে নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালন করবেন?’

গতকাল মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, ওবায়দুল কাদের বলেছেন আওয়ামী লীগ সরকার বা পুলিশ বিরোধী দলের কোনো কর্মসূচিতে বাধা দেয় না। তারা নিজেরাই গণ্ডগোল করে সভা পণ্ড করে দেয়।

রিজভী বলেন, ‘আমরা আগেই বলেছি সবদিক থেকে তারা চরমভাবে ব্যর্থ হয়ে মিথ্যাচারই হলো আওয়ামী লীগের একমাত্র অবলম্বন। মিথ্যার মায়াজাল সৃষ্টি করা ছাড়া আওয়ামী লীগের উন্নয়ন বলে কিছু নেই। তাঁরা জনগণকে বিভ্রান্ত ও বিরোধী দল ও মতকে নির্দয়ভাবে দমন করার পর মিথ্যার মায়াজাল ছড়িয়ে দেয়।’