অর্থ অভাবে, মেয়ের লাশ নর্দমায় ফেলে দিলেন বাবা

কষ্টের সংসারে জোটে না দুবেলা দুমুঠো খাবার। এর মধ্যে আবার আত্মহত্যা করেছে অভিমানী মেয়ে। হাসপাতাল-পুলিশের ঝক্কি সামলালেও মেয়ের সৎকারের অর্থও নেই বাবার কাছে। শেষে উপায় না দেখে মেয়ের লাশ ফেলে দিলেন নর্দমায়।

মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের হায়দরাবাদ শহরে। পুলিশ জানায়, ওই শহরেরই একটি রাসায়নিক কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন পেনতাইয়াহ (৪৫)। গত ৫ মে তাঁর কিশোরী মেয়ে মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

চারদিন থানা-হাসপাতাল ঘুরে মেয়ের লাশ ফিরিয়ে আনলেও সৎকারের খরচ ছিল না বাবার কাছে। পেনতাইয়াহর দুই চোখে তখন ঘোর আঁধার। কী করবেন ভাবতে পারছেন না তিনি। পরে গভীর রাতে মেয়ের লাশ শহরের উপকণ্ঠে একটি নর্দমায় ফেলে দেন পেনতাইয়াহ।

স্থানীয় থানা পুলিশের উপপরিদর্শক জে নাগাচারি সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, ‘স্থানীয়রা নর্দমায় খুলি ভাসতে দেখে আমাদের জানায়। এরপর তদন্ত শুরু করি। তখন বের হয়ে আসে পেনতাইয়াহের মেয়ে কয়েকদিন আগে মারা গেছে। আর তার সৎকার কোথায় করা হয়েছে তা কেউ জানে না। এরপর ওই মেয়ের বাবাকে জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনিও ঘটনা স্বীকার করেন।’ এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান নাগাচারি।

পরে এ বিষয়ে গতকাল রোববার এক সংবাদ সম্মেলনও করেছে তেলেঙ্গনা পুলিশ। সেখানে সবার সামনে ঘটনাটি স্বীকার করেছেন পেনতাইয়াহও। তিনি জানান, কাছে টাকা না থাকায় মেয়ের লাশ নর্দমায় ফেলে দেন তিনি। পেনতাইয়াহ বলেন, তিনি কী করবেন বুঝতে পারছিলেন না। এ ছাড়া খেতে না পেয়ে গত বছর পেনতাইয়ার একমাত্র ছেলেও আত্মহত্যা করে বলে জানান হতভাগ্য বাবা।