অস্ত্রবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান মিয়ানমারের
রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরা এক মাসের জন্য অস্ত্রবিরতির যে প্রস্তাব দিয়েছিল তা প্রত্যাখান করেছে মিয়ানমার সরকার।
মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট অফিসের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল জ তাই এক টুইট বার্তায় বলেছেন, সরকার ‘সন্ত্রাসীদের’ সঙ্গে কোনো মধ্যস্থতা করবে না।
রোববার থেকে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমান বিদ্রোহীরা এক মাসের জন্য অস্ত্রবিরতির ঘোষণা দেয়।
আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) এক বিবৃতিতে বলা হয়, তারা রাখাইনে মানবিক সংকট বিবেচনায় অস্ত্রবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং তারা আশা করছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীও সেখানে অস্ত্রবিরতি করবে।
আরসা অস্ত্রবিরতি ঘোষণার পর আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি ছিল মিয়ানমার সরকারের দিকে। এ অবস্থায় মিয়ানমার প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল জ জানান, আরসার সঙ্গে আলোচনার ব্যাপারে তাদের কোনো পরিকল্পনায় নেই।
গত ২৫ আগস্ট রাখাইনের ৩০টি পুলিশ ও সেনাচৌকিতে আরসা হামলা করে বলে অভিযোগ করে মিয়ানমার সরকার। এরপর সেখানে সেনা অভিযান শুরু হলে ২ লাখ ৯০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশ সীমান্তে আশ্রয় নেয়। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা রাখাইনে সেনাবাহিনীর হত্যা, ধর্ষণ, ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও পরিকল্পিত দমন অভিযানের বিবরণ দেয়। এই গণহত্যা বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, আঞ্চলিক শক্তি ও সরকারের প্রতি সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে তারা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন