অ্যাটর্নি জেনারেলকে তার অবস্থান বুঝিয়ে দিলেন প্রধান বিচারপতি
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2017/07/cj-sk-sinha-1.png)
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2025/02/475351977_1256003665483861_2959209934144112011_n.jpg)
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমকে উদ্দেশ্য করে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, ‘সবসময় মনে রাখবেন, সরকার এবং প্রধান বিচারপতির মধ্যে ব্রিজ হলেন অ্যাটর্নি জেনারেল।’
নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা গেজেট প্রকাশ সংক্রান্ত শুনানিতে সোমবার প্রধান বিচারপতি এ কথা বলেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল গেজেট প্রকাশে আবারও দু’সপ্তাহের সময় আবেদন করলে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এক সপ্তাহ সময় মঞ্জুর করেন।
গত রোববার প্রধান বিচারপতির সঙ্গে একান্ত আলোচনা শেষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছিলেন, বৃহস্পতিবারের মধ্যে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরি-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধি চূড়ান্ত হয়ে আগামী সপ্তাহে গেজেট হয়ে যাবে। তবে রাষ্ট্রপতির কাছে যে বিধি গ্রহণযোগ্য হবে তাই চূড়ান্ত হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
গত ৯ জুন অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতে সময় চেয়ে আবেদন দাখিল করলে প্রধান বিচারপতি তাকে উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, ‘এটাই লাস্ট চান্স।’
তবে এর পরের দিনই ৩ জুলাই বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আশ্বাস দিয়ে বলেছিলেন, ‘আমি আশা করি এ মাসের ১৫ তারিখের আগেই গেজেট হয়ে যাবে।’
১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেন মামলায় (বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ) ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেওয়া হয়। ওই রায়ে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল।
আপিল বিভাগের নির্দেশনার পর ২০১৫ সালের ৭ মে আইন মন্ত্রণালয় শৃঙ্খলা সংক্রান্ত একটি খসড়া বিধি প্রস্তুত করে সুপ্রিমকোর্টে পাঠায়। কিন্তু গত বছরের ২৮ আগস্ট আপিল বিভাগ খসড়ার বিষয়ে বলেন, শৃঙ্খলা বিধিমালা সংক্রান্ত সরকারের খসড়াটি ছিল ১৯৮৫ সালের সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালার হুবহু অনুরূপ, যা মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থী।
এরপর সুপ্রিমকোর্ট একটি খসড়া বিধিমালা করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠান। একই সঙ্গে ৬ নভেম্বর ২০১৬ এর মধ্যে খসড়া বিধিমালা প্রণয়ন করে প্রতিবেদন আকারে আদালতকে জানাতে আইন মন্ত্রণালয়কে বলা হয়। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ থেকে খসড়া বিধিমালা প্রকাশে জন্য বার বার সময় নেয়া হয়।
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2024/12/469719549_122234398946008134_2936380767280646127_n.jpg)
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন