অ্যামাজনের ডেলিভারি বয় এখন কোম্পানির মালিক, মাসে আয় লাখ টাকা!
অনলাইন মার্কেটিং কোম্পানিতে চাকরি করতে করতেই বুদ্ধিটা খেলেছিল। এখন নিজের ব্যবসায়ে মাসে লক্ষ টাকার উপরে আয় করেন জয়পুরের তরুণ রঘুবীর সিং চৌধুরী।
অ্যামাজন সংস্থায় ডেলিভারি বয় হিসেবে বহাল ছিলেন রঘুবীর। সেখানেই অনলাইন মার্কেটিং ব্যবসার সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। নানান পণ্যের ভিড়ে চোখ টেনে নেয় গ্রাহকদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রীর ক্রমবর্ধমান চাহিদা। কিন্তু বড় শহরে ব্যবসা জমলেও, দেশের অগুনতি মাঝারি ও ছোট শহরে বাড়ি বসে পছন্দসই খাবার পাওয়ার সুবিধা মেলে না। বিষয়টি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করতে শুরু করেন রঘুবীর। তারই ফসল হিসেবে জন্ম নেয় জয়পুরে ঘরে ঘরে চা-জলখাবার পৌঁছে দিতে তাঁর নিজের স্টার্ট আপ।
জয়পুরের ছেলে রঘুবীরের জন্ম দরিদ্র পরিবারে। অর্থাভাবেই স্কুল শেষ করার পরে আর পড়াশোনা করেত পারেননি। রোজগারের জন্য অ্যামাজনের ডেলিভারি বয় হিসেবে চাকরি শুরু করেন। মাসে বেতন পেতেন মাত্র ৯০০০ টাকা। নিজের মোটরবাইক না থাকায় দূর-দূরান্তে সাইকেলেই মাল ডেলিভারি দিতে হত। পথের ক্লান্তি দূর করতে প্রায়ই রাস্তার ধারের চা-দোকানে থামতেন। তবে মনপসন্দ চা পেতে অনেক খোঁজ করতে হত। আর তার থেকেই নয়া ব্যবসার বুদ্ধি মাথায় খেলে যায় রঘুবীরের।
প্রথমে তিন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে তিনি স্টার্ট আপ চালু করেন। স্থানীয় দোকানদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করে ফেলেন। ধীরে ধীরে চাহিদা বাড়ার ফলে এখন বহু দোকানই তাঁর সঙ্গে ব্যবসায়িক গাঁটছড়া বাঁধতে আগ্রহী।
বর্তমানে জয়পুর শহরে চারটি ডেলিভারি সেন্টার চালান রঘুবীর। প্রতিদিন গড়ে ৫০০-৭০০ গ্রাহকের অর্ডার ডেলিভারি দেয় তাঁর সংস্থা। স্টার্ট আপের মাসিক আয়ের পরিমাণ আপাতত লক্ষ টাকা ছাড়িয়েছে। অবশেষে নিজস্ব সাইকেল কিনেছেন রঘুবীর।-এই সময়
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন