অ্যাম্বুলেন্সে উঠানোর সময়ও মরদেহের পকেটে ফোনটি বেজে উঠছিল

বনানীর এফ আর টাওয়ারের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এখন চলছে উদ্ধার কাজ। ভেতর থেকে আহত ও নিহতদের লাশ উদ্ধার করছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে যখন একটি লাশ উদ্ধার করে অ্যাম্বুলেন্সে উঠানো হচ্ছিল তখনো তার ফোনটি বেজে উঠে।

ফোন কলের উত্তর কী হবে তা জানাতে দ্বিধান্বিত হলেও ফায়ার সাভির্সের উর্ধতন কর্মকতা ভারী কণ্ঠে ওপাশে থাকা আত্মীয়কে তার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেন। পরে লাশটি ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা লাশটি মর্গে পাঠান।

এদিকে নিখোঁজদের সন্ধানে বনানী এফ আর টাওয়ারের সামনে ও হাসপাতালগুলোতে স্বজনদের ভিড় বাড়ছে। তারা সবার ভিড়ের মাঝে খুঁজছেন প্রিয় মানুষটিকে।

এফ আর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত সাতজন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। এদের মাঝে একজন শ্রীলঙ্কার নাগরিক।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন পারভেজ সাজ্জাদ (৪৭), আমেনা ইয়াসমিন (৪০), মামুন (৩৬), শ্রীলঙ্কার নাগরিক নিরস চন্দ্র, আবদুল্লাহ আল ফারুক (৩২), মাকসুদুর (৬৬) ও মনির (৫০)।

বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে একটার দিকে এফ আর টাওয়ারের ৯ তলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন লাগার পর এফ আর টাওয়ার ও পাশের বিল্ডিংগুলো থেকে নামতে গিয়ে অনেকেই আহত হন। এছাড়া অনেকে বিল্ডিং থেকে লাফ দিয়ে নিচে পড়ে আহত হয়েছেন।