অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা তুলে নিচ্ছে সুইডেন
দুর্নীতি ও চাঞ্চল্যকর তথ্যেভরা বিভিন্ন দেশের গোপনীয় সরকারি ডকুমেন্ট প্রকাশ করেছিল উইকিলিকস। এর প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেছিল সু্ইডেন। অবশেষে সেই মামলা তুলে নিচ্ছে দেশটি। তদন্ত ছেড়ে দিচ্ছে সুইডেনের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। ফলে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে আনা ধর্ষণ মামলা তুলে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হল সুইডেনে। এর ফলে সাত বছর ধরে চলা এই মামলার আইনী অচলাবস্থার অবসান হল।
তবে লন্ডনের পুলিশ এখনো তাকে গ্রেপ্তার করতে পারে বলে ডয়েচে ভেলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
সুইডিশ আইনজীবীদের অফিস থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে আনা ধর্ষণের অভিযোগের প্রাথমিক তদন্ত থেকে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলী মারিয়ান নি শুক্রবার (১৯ মে) সড়ে দাঁড়িয়েছেন। তিনি স্টকহোম জেলা আদালতের কাছে অ্যাসাঞ্জের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের আবেদন করে চিঠিও দিয়েছেন। ৪৫-বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক অ্যাসাঞ্জ বারবার তার বিরুদ্ধে আনা ধর্ষণের অভিযোগের কথা অস্বীকার করে এসেছেন।
এর আগে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার এড়াতে অ্যাসাঞ্জ ২০১২ সাল থেকে লন্ডনে অবস্থিত ইকুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয় নিয়েছেন। অ্যাসাঞ্জের ভয় যে সুইডিশ কর্তৃপক্ষ তাকে ধরে নিয়ে আমেরিকার হাতে তুলে দিতে পারে। এর আগে তিনি বলেছিলেন যে, উইকিলিকসের মধ্য দিয়ে গোপন তথ্য প্রকাশ করার দায়ে আমেরিকায় তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হতে পারে।
উইকিলিকস ২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বিপুল সংখ্যক কূটনৈতিক নথি ফাঁস করে দিলে স্পর্শকাতর বিভিন্ন ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা ও অবস্থানের তথ্য গণমাধ্যমে চলে আসে। তাতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বেকায়দায় পড়ে যায় বিশ্বের ‘ক্ষমতাধর’ দেশটি। তখনই বিশ্বব্যাপী আলোচনায় আসেন অ্যাসাঞ্জ। একই বছরই সুইডেনে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন দুই নারী। এক পর্যায়ে সুইডিশ পুলিশ অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
সুইডেনের অনুরোধে যুক্তরাজ্যের পুলিশ ২০১০ সালের ৭ ডিসেম্বর অ্যাসাঞ্জকে গ্রেপ্তার করে। নয় দিন পর কঠিন কয়েকটি শর্তে জামিন পান তিনি। পাসপোর্ট জমা রেখে দিনরাত গোড়ালিতে ইলেকট্রনিক ট্যাগ পরা অবস্থায় এক বন্ধুর বাড়িতে থাকার এবং প্রতিদিন থানায় হাজিরা দেওয়ার শর্তে তাকে মুক্তি দেয়া হয়। এরপর অ্যাসাঞ্জ উচ্চ আদালতে গেলেও তাকে সুইডেনের কাছে হস্তান্তরের পক্ষে রায় আসে।
ওই অবস্থায় ২০১২ সালের ১৯ জুন লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে ঢুকে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন অ্যাসাঞ্জ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন