আইফোনের গোপন কোড ফাঁস, ঝুঁকিতে ব্যবহারকারীরা
বলতে গেলে গত এক দশকে আইফোনের মতো জনপ্রিয়তা পায়নি কোনো ফোন। প্রযুক্তির ভবিষ্যৎদ্রষ্টা প্রয়াত স্টিভ জভসের প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীরা আইপ্যাডের বদলে একই সুবিধাসম্পন্ন এই ফোন বাজারে আনলে তা ব্যাপক আলোড়ন তোলে। কিন্তু সুবিধাগুলো ছাপিয়ে নতুন অসুবিধাও দেখা দিয়েছে।
মার্কিন টেক জায়ান্ট অ্যাপল আইফোন সফটওয়্যারের গোপন একটি অংশ অনলাইনে ফাঁস হয়ে গেছে। এতে স্মার্টফোনের নিরাপত্তাব্যবস্থার ফাঁকফোকর হ্যাকাররা সহজেই তাদের হাতের মুঠোয় পেয়ে যেতে পারেন। ব্রিটিশ দৈনিক টেলিগ্রাফ এমন আশঙ্কার কথাই জানিয়েছে।
তবে আইফোন ব্যবহারকারীদের জন্য আপাতত কোনো ঝুঁকি নেই। ফাঁস হওয়া এই কোড তাৎক্ষণাৎ অ্যাপলপ্রেমীদের বিপদে ফেলতে যাচ্ছে না। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলেন, হ্যাকররা এখন এই কোড নিয়ে বিশ্লেষণ করবেন। কীভাবে এটার হুবহু আরেকটি তৈরি করা যায় কিংবা নিজেদের স্বার্থে কাজে লাগানো সম্ভব, তা নিয়ে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবেন তারা।
সর্বশেষ অ্যাপলভক্তদের জন্য দুঃসংবাদই থেকে যাচ্ছে। আজ না হোক কাল, ভবিষ্যতে যে কোনো সময় তাদের ফোন হ্যাক হওয়ার একটি মারাত্মক ঝুঁকি রয়ে গেছে।
বুধবার রাতে অ্যাপল সফটওয়্যারের ‘সোর্স কোডের’ একটি অংশ গিটহাব নামে একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। কম্পিউটার প্রোগ্রামের কোড শেয়ারের ওয়েবসাইটে গিটহাবের এক অজ্ঞাত ব্যবহারকারী এ ফাঁস করার কাজটি করেন।
মোবাইল প্রচলন সফটওয়্যার আইওএসকে জোরালো করতে কম্পিউটিং নির্দেশনা হচ্ছে সোর্স কোড। সফটওয়্যারের যে গোপন অংশ ফাঁস হয়েছে, তা আইওএস-৯ সংশ্লিষ্ট। এটি তিন বছর আগের পুরনো।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলেন, অ্যাপলের যে হালনাগাদ সফটওয়্যার রয়েছে- তার সঙ্গে ফাঁস হওয়া সফটওয়্যারের মিল আছে।
সফটওয়্যার নিরাপত্তা বিশ্লেষক ম্যাথু কার বলেন, এটি বড় ধরনের ফাঁসের ঘটনা হলেও আইফোন ব্যবহারকারীরা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না। তবে হ্যাকাররা নিজেদের কাজে তা সহজভাবেই ব্যবহার করতে পারবেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন