আইয়ুব বাচ্চুর জন্য কাঁদলেন তিশা
স্কয়ার হাসপাতালে নিথর আইয়ুব বাচ্চুকে দেখতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন খ্যাতিমান অভিনেত্রী তিশা। সাংবাদিকদের কাছে কাঁদতে কাঁদতে বলছিলেন, আইয়ুব বাচ্চু আমাদের অনুপ্রেরণা। অনেক মানুষ তার গান গায়। সবার কাছেই তিনি অনুপ্রেরণা।
প্রিয় শিল্পীর এমন মৃত্যু বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না তিনি। কথা বলতে বলতেই চোখের পানি ধরে রাখতে পারছিলেন না এই অভিনেত্রী।
তিশা বলেন, অসুস্থ হয়ে যাবার পরও তিনি যে এনার্জি নিয়ে গান গাইতেন সেটা অবশ্যই অনুপ্রেরণার।
বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশের এ কিংবদন্তীতুল্য সংগীতশিল্পীর হঠাৎ চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না কণ্ঠশিল্পী, চলচ্চিত্রকর্মী, সংগীত পরিচালকসহ ভক্তরা। শিল্পী
আইয়ুব বাচ্চু বুধবার রাতে এলআরবি ব্যান্ড নিয়ে রংপুরে সংগীত পরিবেশন করেছেন। বৃহস্পতিবার (আজ) সকালে তিনি ঢাকায় ফেরেন।
ঢাকায় ফিরেই আইয়ুব বাচ্চু অস্বস্তি বোধ করছিলেন। সকাল ৮টার দিকে বাসায় ব্রেইন স্ট্রোক করেন। দ্রুত তার গাড়ি চালকের সহায়তায় তাকে স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আনুমানিক সকাল ৯.৫৫ মিনিটে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এর আগে ২০১২ সালের ২৭ নভেম্বর আইয়ুব বাচ্চু ফুসফুসে পানি জমার কারণে স্কয়ার হাসপাতালে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসা গ্রহণের পর তিনি সুস্থ হয়ে ফিরে আসেন আবার গানের মঞ্চে। অভিনেত্রী তিশা বলছিলেন সে কথাই।
রূপালি গিটারের জাদুতে কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে স্থান দখল করে নিয়েছেন পুরো এশিয়া অঞ্চলের অন্যতম সেরা এ গিটারিস্ট। আইয়ুব বাচ্চু গিটারকে সাথী করে জীবনের ৫৬ বছর আঁকা-বাঁকা পথ এগিয়ে চলেছেন। চলতে চলতে ভক্তদের আকুতি জানিয়ে গেছেন মৃত্যুর পর তাকে যেন ভুলে না যায়।
সেই কথাগুলোই যেন তার ভক্ত-শ্রোতাদের ভেতরে আঘাত হয়ে বাজছে। তাকে ঘিরে শোকগাঁথা স্ট্যাটাসে সামাজিক যোগাযোগ এখন যেন শোকের সমুদ্র।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন