আওয়ামীলীগ হলো বাংলাদেশের ইতিহাস, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের ব্যারিস্টার ফারজানা ছাত্তার এমপি

বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সম্মানিত সদস্য ঈশ্বরগঞ্জের গর্ব ব্যারিস্টার ফারজানা ছাত্তার এমপি বলেন আওয়ামীলীগের ইতিহাস হলো বাংলাদেশের ইতিহাস। (২৩ জুন) রবিবার ব্যারিস্টার ফারজানা ছাত্তার এমপি বলেন ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তি পাওয়ার পর পাকিস্তানের অংশ হয়েও বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন ঘটেনি।

তখন পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী দ্বারা নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হওয়া বাংলার মানুষকে মুক্তি দিতে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শামসুল হক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন জন্ম হয় আওয়ামী লীগ নামক দলটির। প্রতিষ্ঠাকালে দলটির সভাপতি নির্বাচিত হন মাওলানা ভাষানী ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন শামসুল হক।

তখন তরুণ নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।৫২-এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ‘৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনের সফল নেতৃত্বের মাধ্যমে গণমানুষের দলে পরিণত হয় আওয়ামী লীগ। অনেক বাধা-বিপত্তি ও প্রতিকূলতাকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ৭৫ বছরে পদার্পণ করেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের দল।

৭৫ বছর ধরে দেশের সকল ক্রান্তিলগ্নে সম্মুখযোদ্ধা হিসাবে দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগ জনগণের কাছে নিজের অপরিহার্যতা প্রমাণ করেছে। বাংলাদেশের ইতিহাসের পরতে পরতে এই দলটির নাম জড়িয়ে আছে। মুক্তিযুদ্ধে জয় লাভের ৩ বছরের মধ্যে ‘৭১ এর পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্রের ফলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হবার মধ্যে দিয়ে আওয়ামী লীগের নাম চিরতরে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয় বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে।

মৃতপ্রায় আওয়ামী লীগের হাল ধরতে ৬ বছরের দীর্ঘ নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে দেশে ফিরে আসেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। দীর্ঘ ২১ বছরের জুলুম-অত্যাচার পায়ে মাড়িয়ে আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠনের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনে। শুরু হয় বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার লড়াই।

কিন্তু বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতার বাইরে গেলে বিএনপি- মওদুদীবাদী জামায়াতের নেতৃত্বে দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটে। রাষ্ট্রযন্ত্রের সহায়তায় দেশ হয়ে ওঠে জঙ্গি ও সাম্প্রদায়িক শক্তির উর্বর ভূমি। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে দেশ টানা ৫ বার দুর্নীতিতে শীর্ষস্থান দখল করে।

এসময় আওয়ামী লীগকে নিঃশেষ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে তৎকালীন জোট সরকার। প্রশাসনের সহায়তায় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বারবার হত্যার চেষ্টা করা হয়। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে চিরতরে মুছে ফেলতে চেয়েছিলো তৎকালীন জোট সরকার। এই ষড়যন্ত্রের পেছনের মাস্টারমাইন্ড ছিলো তারেক জিয়া।

কিন্তু মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে শেখ হাসিনা বেঁচে গেলেও নিহত হয় আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। আহত হয় কয়েকশত আওয়ামী লীগের কর্মী। যার ক্ষতচিহ্ন আজও বয়ে বেড়াচ্ছে অনেকে। সকল ষড়যন্ত্রের জাল চিহ্ন করে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মতো দায়িত্ব গ্রহণ করে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করেছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ খাতে অকল্পনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। জাতির জনকের পদাঙ্ক অনুসরণ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা বাংলাদেশকে বিশ্বে মর্যাদার আসনে আসীন করেছেন।

অর্থনৈতিকভাবে উন্নয়নের রোল মডেল বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিনত করার কৃতিত্ব আওয়ামী লীগের। উন্নয়নের অভিযাত্রায় দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ যার নেতৃত্বে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ।