আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে যে বার্তা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাসহ দলটির বেশিরভাগ শীর্ষনেতা। গেল জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণের অভিযোগে এই দলটির নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠে সাধারণ মানুষ। আন্দোলনে তোড়ে অবশেষে ৫ আগস্ট খড়কুটোর মতো ভেসে যায় আওয়ামী লীগ সরকার। পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান হাসিনা।

তখন থেকে দেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে আসছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বেশ কয়েকটি দল ও সংগঠন। এরই মধ্যে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় নিষিদ্ধও করা হয়েছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে এখনো সুস্পষ্ট কোনো বার্তা দেওয়া হয়নি।

সম্প্রতি যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির বাংলা সার্ভিসকে এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। সে সাক্ষাৎকারে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ বা তারা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ‘আমার বরাবরই পজিশন হলো যে আমরা সবাই এই দেশের নাগরিক। আমাদের এই দেশের ওপরে সমান অধিকার। আমরা সব ভাই ভাই। আমাদেরকে এই দেশেই বাঁচতে হবে। এ দেশকেই বড় করতে হবে।’

‘কাজেই যে মত-দল করবে, তার মতো করে, সবকিছু করবে। এই দেশ থেকে কারো অধিকার কেড়ে নেওয়ার কোনো উপায় নাই। কিন্তু যে অন্যায় করেছে, যার বিচার হওয়া উচিৎ, তার বিচার হতে হবে। এটুকুই শুধু’-যোগ করেন অধ্যাপক ইউনূস।

এদিকে আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের ব্যাপারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ সমমনা কিছু সংগঠন সরব হলেও প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অনৈক্য দেখা গেছে। এ বিষয়ে অধ্যাপক ইউনূসের ভাবনা, ‘ওই যে ঐকমত্য। আমরা বরাবরই ফিরে যাচ্ছি ঐকমত্যে। সবাই মিলে যা ঠিক করবে আমরা তাই করবো।’