আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ : ত্রিপুরায় জমি অধিগ্রহণ শুরু
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার রেল যোগাযোগের অংশ হিসেবে আখাউড়া ও আগরতলা রেল প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ শুরু করেছে দুই দেশ। এরইমধ্যে প্রকল্প এলাকার ভারতীয় অংশে ২৫৭টি পরিবারকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
গত রোববার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানায় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য সরকার। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে এ তথ্য জানা গেছে।
পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও কালেক্টর মিলিন্দ রামতেকে বলেন, ওই রেল প্রকল্পের ৬৬ একর জমি অধিগ্রহণের জন্য আমরা ২৫৭টি পরিবারকে নোটিশ করেছি। এ জমি রেলওয়েকে দেওয়া হবে আগস্টের শেষ নাগাদ।
তবে ভূমিদাতাদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ৯৭ কোটি ৬৩ লাখ ভারতীয় রুপি বরাদ্দ দিয়েছে বলেও তিনি জানান।
বাংলাদেশের সঙ্গে সংযুক্ত হতে আগরতলা-আখাউড়া ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ রেলপথ নির্মাণে প্রায় আড়াই বছর সময় লাগবে। এই ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে ৫ কিলোমিটার ভারতীয় অংশে ও বাকি পথ থাকবে বাংলাদেশ অংশে।
উত্তর-পূর্ব ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ে ভারতীয় অংশে কাজ শেষ করবে। তবে ভারতীয় অংশে কৃষি জমি রক্ষায় রেলপথের ৩ দশমিক ৭ কিলোমিটার অংশ ফ্লাইওভার করা হবে।
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, এরইমধ্যে বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশ অংশে ৭০ একর জমি অধিগ্রহণ শুরু করছে। দুই দেশের সম্মতিতে ২০১৬ সালের ৩১ জুলাই থেকে এ প্রকল্প শুরু হয়।
পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে রেল যোগাযোগে আগ্রহী ছিল নয়াদিল্লি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গত ভারত সফরে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ নির্মাণে চুক্তি সই করে দুই দেশ।
শিলিগুরির ‘চিকেন নেক’ (সাত রাজ্যে যেতে বাংলাদেশ-ভারতের শিলিগুরির সরু সীমান্ত) হয়ে কলকাতা থেকে আগরতলার দূরত্ব প্রায় ১৭০০ কিলোমিটার। কিন্তু ১৫ কিলোমিটার রুটের এ রেল যোগাযোগ শুরু হলে বাংলাদেশ হয়ে কলকাতা-আগরতলা যাতায়াতে দূরত্ব ৩৫০ কিলোমিটার কমে আসবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন