আগামি নিবার্চনে ধানের শীষে ভোট দিবেন : সাতক্ষীরায় সাবেক এমপি হাবিব

কেএম আনিছুর রহমান ও দেবাশীষ চক্রবর্তী বাবু: বিএনপির প্রকাশনা সম্পাদক ও সাতক্ষীরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব বলেছেন, ‘বিএনপি জনগণের দল, জনগণের ভালোবাসা-ই বিএনপির একমাত্র শক্তি। আগামিতে আবারো বিএনপি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসে দেশ ও মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত হবে বলে ইনশাল্লাহ।’

বৃহষ্পতিবার বিকেলে (১৩ মার্চ) সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার জয়নগর ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত ইফতার মাহফিলপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

স্থানীয় ধানদিয়া চৌরাস্তা মোড়ে বেগম খালেদা জিয়া কলেজ মাঠে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সাবেক এমপি হাবিব বলেন, ‘এলাকায় কথিত কোন বড় ভাই থাকবে না, ভাইয়ের কোন ছেলের রাজত্বও থাকবে না। কোন শালিস-বিচার করা যাবে না। মানুষের মন জয় করে রাজনীতি করতে হবে।’

ইউনিয়ন বিএনপি নেতা রওশন আলী গাজীর সভাপতিত্বে ও জাকির হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপজেলা বিএনপির মুখপত্র অধ্যক্ষ রইছ উদ্দীন, সদ্যসাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রকিব মোল্যা, যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ আবু বকর সিদ্দিক, যুগ্ম সম্পাদক আশরাফ হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক শেখ আব্দুল কাদের বাচ্চু, যুগ্ম সম্পাদক রবিউল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ তামিম আজাদ মেরিন, বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান আসাদ, আখলাকুর রহমান শেলি, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক এমএ হাকিম সবুজ, যুগ্ম আহবায়ক কেএম আশরাফুজ্জামান পলাশ, প্রভাষক সালাউদ্দীন পারভেজ, কৃষক দলের আহবায়ক মাস্টার মনিরুজ্জামান, সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম মনি, বিএনপি নেতা আব্দুল মজিদ, রুহুল কুদ্দুস, রুহুল আমিন, সিদ্দিকুর রহমান, ইউনুস আলী, বাবু বাচ্চু, কৃষকদল নেতা আরিজুল ইসলাম,
প্রভাষক আব্দুল জব্বার, মনি, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক হাসান মাহমুদ সাচ্চুসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপি এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

এসময় বিপুল সংখ্যক কর্মী-সমর্থক ও মুসল্লিা উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিব বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ ১৭ বছর যাবত এভাবে ইফতার অনুষ্ঠান করতে পারিনি। আজ আমাদের সুযোগ এসেছে। আওয়ামী ফাঁসিষ্টদের মত আমরা সাধারণ মানুষের সাথে খারাপ ব্যবহার করবো না। জোর করে ভোটও নেবো না । আমরা জনগণের ভালোবাসা নিয়ে ভোটে জয়লাভ করে নেতৃত্ব দিতে চায়। আমার দলের কোন নেতাকর্মী যদি জমি দখলবাজ, ধান্দাবাজ, চাঁদাবাজ মাস্তানি করে তাহলে তাদেরকে ধরে বেঁধে রেখে আমাকে খবর দেবেন, আমি তাদের বিচার করবো। এ ধরণের নেতা-কর্মীদের আমার দলের ঠাই হবে না।’

তিনি আরো বলেন, ‘কথিত শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলায় আমার মিথ্যা মামলায় ৭০ বছর সাজা দিয়েছিলো। এছাড়া উপজেলার ৪৯ জন নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে ওই মামলায় সাজা দিয়েছিলো ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ। আল্লাহর রহমতে আপনাদের মাঝে ফিরে আসতে পেরেছি। এমনকি ওই মিথ্যা মামলায় আমাকে একটি পার্টে হাইাকোর্ট খালাস দিয়েছেন। তালা-কলারোয়া আসনে ভোট করতে পারবো ইনশাল্লাহ। আগামি নিবার্চনে আমাকে ধানের শীষে ভোট দিবেন। যদি পাশ করতে পারি তাহলে তালা-কলারোয়ার অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করতে পারবো বলে আশি করি।’

তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা আলেম সমাজের উপরেও অত্যাচার করেছে। কোনো জায়গায় সভা-সমাবেশ করতে দেয়নি, এমনকি ইসলামি কোনো সভাও হতে দেয়নি। এদেশের মানুষ তার সমুচিত জবাব দিয়েছে।’