আগামী বছরের জুনের মধ্যে পদ্মা সেতু উন্মুক্ত করতে কাজ চলছে : সেতুমন্ত্রী

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, গতকাল পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে ভায়াডাক্টের সর্বশেষ গার্ডার স্থাপনের মধ্য দিয়ে পুরো সেতুর স্ট্রাকচারের কাজ শেষ হয়েছে এবং এর মাধ্যমে সেতুটি চালু হতে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল।
মন্ত্রী রবিবার নিজ বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সিলেট সড়ক জোন, বিআরটিএ এবং বিআরটিসি’র কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়কালে এ কথা জানান।
মন্ত্রী আরো জানান এ পর্যন্ত মূল পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজের অগ্রগতি শতকরা ৯৩ দশমিক ২৫ ভাগ, নদী শাসন কাজের অগ্রগতি শতকরা ৮৩ ভাগ এবং প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি শতকরা ৮৫ দশমিক ৫০ ভাগ।
সরকার ২০২২ সালের জুন নাগাদ সেতুটি যানচলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করছে বলেও তিনি জানান।
এ সময় তিনি এই মুহূর্তে সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার প্রকল্প ঢাকা-সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণের লক্ষ্যে নির্মাণ কাজ দ্রুত শুরু করার জন্য মন্ত্রণালয় এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্টদের আরো উদ্যোগী হবার নির্দেশ দেন।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুস সবুর, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মনির হোসেন পাঠান, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) আব্দুল মালেক, সিলেট সড়ক জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলীসহ বিআরটিএ এবং বিআরটিসি’র কর্মকর্তাগণ সভায় অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন।
লকডাউনেও কৃষি মন্ত্রণালয় ও মাঠ পর্যায়ের অফিস খোলা রয়েছে
চলমান লকডাউনেও খোলা রয়েছে জরুরি পরিষেবার সাথে সংশ্লিষ্ট কৃষি মন্ত্রণালয় ও এর অধীন দপ্তর/সংস্থাসমূহের অফিস। কৃষি মন্ত্রণালয় সীমিত পরিসরে ও মাঠ পর্যায়ের বিশেষ করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের অফিসগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রয়েছে।
লকডাউনের শুরু থেকেই বোরো ধান কর্তনের জন্য কম্বাইন হারভেস্টার, রিপারসহ কৃষিযন্ত্র বিতরণ ও আন্ত:জেলা শ্রমিক পরিবহণে সহযোগিতা দেয়াসহ বিভিন্ন জরুরি কাজের জন্য খোলা রয়েছে অফিসগুলো। তাছাড়া, আউশের প্রণোদনা; সার,বীজ,কীটনাশক প্রভৃতি উপকরণ বিতরণের কাজও সুষ্ঠুভাবে চলমান আছে।
মন্ত্রণালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে অফিস খোলা রেখে জরুরি কার্যক্রম চলমান আছে। মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থাসমূহের মাঠ পর্যায়ের অফিসের সাথে প্রণোদনা, কৃষি উপকরণ ও ধান কাটাসহ প্রয়োজনীয় বিষয়ে সমন্বয়ের জন্য অতিরিক্ত সচিববৃন্দের নেতৃত্বে প্রতিদিন একটি করে টিম সচিবালয়ে দায়িত্বপালন করে যাচ্ছে। অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মো: হাসানুজ্জামান কল্লোল সমন্বয়কের দায়িত্বপালন করছেন।
পাশাপাশি, রোস্টারভিত্তিতে উপসচিবদের নেতৃত্বে একটি ‘মনিটরিং সেল’ সচিবালয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া, কৃষিমন্ত্রী এবং সিনিয়র সচিব নিয়মিতভাবে সংস্থাপ্রধানসহ মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে জরুরি সভা করছেন ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করে যাচ্ছেন। অগ্রাধিকারভুক্ত প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়নের কাজ ও ই-নথির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়াও চলমান আছে। দপ্তরগুলোর মধ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও এর মাঠ পর্যায়ের জেলা-উপজেলা অফিসগুলো খোলা রয়েছে। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: আসাদুল্লাহ নিয়মিতভাবে অফিস করছেন। তিনি ও অধিদপ্তরের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ মাঠ পর্যায়ে প্রয়োজনীয় পরিদর্শন অব্যাহত রেখেছেন।
কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক ও সিনিয়র সচিব মো: মেসবাহুল ইসলাম মন্ত্রণালয়ে জরুরি প্রয়োজনে অফিস করার পাশাপাশি সরেজমিনে মাঠের কার্যক্রম পরিদর্শন অব্যাহত রেখেছেন। করোনার ঝুঁকির মধ্যেও হাওরে বোরো ধানের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ, ধান কাটার যন্ত্র কম্বাইন হারভেস্টার, রিপার বিতরণ ও ধান কাটায় উৎসাহ দিতে ইতোমধ্যে তাঁরা হবিগঞ্জের বানিয়াচং ও কিশোরগঞ্জের মিঠামইনের হাওর সফর করেছেন। এছাড়া, গাজীপুরে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করে দ্রুত ‘উচ্চ তাপমাত্রা সহনশীল’ ধানের জাত উদ্ভাবনের নির্দেশনা দিয়েছেন।
লকডাউনে এসব উদ্যোগের ফলে মাঠ পর্যায়ে ধান কাটার যন্ত্র কম্বাইন হারভেস্টার ও রিপারের সর্বোচ্চ ব্যবহার, কৃষি উপকরণের সরবরাহ, হাওরে বোরো ধান কর্তন ও শ্রমিকের নির্বিঘ্ন যাতায়াত সচল রাখা সম্ভব হয়েছে।
তথ্যবিবরণী- পিআইডি

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন