আগামী ১শ বছরেও আওয়ামীলীগের অস্তিত্ব থাকবে না : আমিনুল হক
আওয়ামী লীগের যেভাবে পতন হয়েছে আগামী ১০০ বছরেও তাদের আর অস্তিত্ব থাকবে না মন্তব্য করে বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক বলেছেন, মহান স্বাধীনতার যুদ্ধের বীর যুদ্ধারা যেভাবে ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিল, ঠিক তেমনি ভাবে আজকে আমাদের মহান ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধ ভাবে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণের যে প্রত্যাশা ছিল অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্হা করা কিন্তু হাসিনা সরকার তা কানে নেননি। এর কারনেই বাংলাদেশের জনগণ ঘৃণাভরে এ শেখ হাসিনা সরকারকে প্রত্যাখান করেছে। হাসিনাকে বিদায় করে স্বৈরাচার মুক্ত বাংলাদেশ হয়েছে।
আওয়ামী সরকারের পতনের পর দেশে লুটপাট, দখল ও চাঁদাবাজির অপকর্মের প্রসংগ উল্লেখ করে দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ করে আমিনুল হক বলেন, কোন প্রকার দখল বানিজ্য, লুটপাট ও চাঁদাবাজিতে নেতাকর্মীদের নূন্যতম অভিযোগ প্রমানিত হলে তাদের দল করার কোন যোগ্যতা থাকবে না।দল থেকে তাদের বহিস্কার করা হবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, যারা দখলদারি, চাঁদাবাজ ও লুটপাট করার কাজে অপচেষ্টা করছে, তারা কিন্তু দুষ্কৃতকারী, তারা বিএনপির লোক নয়, হয়তো বা তারা নব্য বিএনপি হয়েছে। তিনি বলেন, যারা লোকাল প্যানেল থেকে আওয়ামী লীগ করেছে, আপনাদের মতো হয়তো বা কোন ভাইদের সহযোগিতায় তারা এখন নব্য বিএনপি হয়েছে।
তিনি দখলবানিজ্য, লুটপাট, চাঁদাবাজির মতো অপকর্মে জড়িত থাকা ব্যক্তিদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করে সহযোগিতা করার আহবান জানান।
আমিনুল হক বলেন, আওয়ামী লীগ যে ভূল গত ১৭ বছর ধরে করেছে, যে জুলুম নির্যাতন নিপীড়ন করেছে, যদি তার একটা ভূল ও আপনারা করেন, তাহলে আমাদেরও একই পরিনতি ভোগ করতে হবে।
তিনি বলেন, দেশের জনগণ কি চায়? বাংলাদেশের ছাএসমাজ কি চায়? শ্রমিক সমাজ কি চায়? জনগণের ভাষা বুঝে জনগণের বন্ধু হিসেবে পাশে থেকে জনগণের যে প্রত্যাশা, যে চাওয়া, সেটা নিয়ে আমরা কাজ করবো। এটাই হচ্ছে আমাদের মূল কাজ।
আমিনুল হক বলেন, আওয়ামী সরকার গত ১৭ টা বছর বাংলাদেশের জনগণের উপর ও জাতীয়তাবাদী নেতাকর্মীদের উপর যেভাবে জুলুম নিপীড়ন নির্যাতন চালিয়েছে। আপনারা নিজেরাই শত শত মামলা হামলা ও নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন। আপনারা বাসাবাড়িতে ঘুমাতে পারেননি। গত জুলুমবাজ আওয়ামী সরকার মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণে ব্যর্থ ছিল। জনগণের কথা ভাবেন নি। তারা যদি জনগণের কথা ভাবতো, তাহলে তাদের এভাবে করুন পরিনতি হতো না।
এরকম দূবৃত্ত সরকারকে বাংলাদেশের মানুষ আর দেখতে চায় না উল্লেখ করে আমিনুল হক বলেন, আওয়ামী সরকারের পরিনতি কি রকম হয়েছে আপনারা সকলেই জানেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, পুরো পৃথিবীর মানুষ দেখেছে শেখ হাসিনা কিভাবে ভয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক সাইফুল আলম নীরব এর সভাপতিত্বে সভায় ঢাকা মহানগর গত কমিটির যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, আতাউর রহমান চেয়ারম্যান, এজিএম শামসুল হক,মোয়াজ্জেম হোসেন মতি,আখতার হোসেন, মোস্তফা জামান,মহানগর সাবেক সদস্য হাজী মোঃ ইউসুফ, এবিএমএ রাজ্জাক,সোহেল রহমান, কাউন্সিলর আলী আকবর আলী, আলাউদ্দিন সরকার টিপু, তহিরুল ইসলাম তুহিন, হাফিজুর রহমান শুভ্র, মাহাবুব আলম মন্টু,আফতাব উদ্দিন জসিম, জাহাঙ্গীর মোল্লা, শ্রমিক দল মহানগর উত্তরের আহবায়ক শাহ আলম রাজা, সদস্য সচিব কামরুজ্জামান কামরুল,যুবদল ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক শরীফ উদ্দিন জুয়েল, সদস্য সচিব সাজ্জাদুল মেরাজ,স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক মহসীন সিদ্দিকী রনী,ছাত্রদল ঢাকা মহানগর পশ্চিমের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ,সাধারণ সম্পাদক জুয়েল হাসান রাজ, তেজগাঁও থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মিরাজ উদ্দিন হায়দার আরজু, কাফরুল থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আকরামুল হক, সাব্বির দেওয়ান জনি, মিরপুর থানা বিএনপির আহবায়ক হাজী আব্দুল মতিন সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক হাজী দেলোয়ার হোসেন দুলু, দক্ষিণখান থানা বিএনপির আহবায়ক মেতালেব হোসেন রতন,যুগ্ম আহবায়ক দেওয়ান মোঃ নাজিম উদ্দীন, তুরাগ থানা বিএনপির আহবায়ক আমানুল্লাহ ভূইয়া, উত্তরখান থানা বিএনপির আহবায়ক রফিকুল ইসলাম খান,যুগ্ম আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম বেপারী, বিমানবন্দর থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন দিলু, মোহাম্মদপুর থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এমএস আহমাদ আলী,ভাটারা থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোঃ সেলিম মিয়া ও ৪০ নং ওয়ার্ড সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম হাতি, শেরে বাংলা নগর থানা বিএনপির যুগ্ম শাহজালাল সিকদার,খিলক্ষেত থানা বিএনপির আহবায়ক এসএম ফজলুল হক যুগ্ম আহবায়ক সিএম আনোয়ার হোসেন, রুপনগর থানা ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শফিকুর রহমান মামুন, আদাবর থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সাদেক হোসেন স্বাধীন ও ৩০ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারন সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বিশ্বাস,পল্লবী থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক কামাল হুসাইন খান যুগ্ম আহবায়ক আশরাফ আলী গাজী, বাড্ডা থানা বিএনপির আহবায়ক আব্দুল কাদের বাবু, রামপুরা থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক নিলুফা ইয়াসমিন নীলু সহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন