সংস্কার হচ্ছে নরসিংদী কারাগার

আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আসামীদের বসবাসের যোগ্য হবে- জেল সুপার শামীম

নতুনভাবে সংস্কার করা হচ্ছে নরসিংদী জেলা কারাগার। নেওয়া হচ্ছে নানান উদ্যোগ। কারাগারের প্রধান ফটক মেরামতের পাশাপাশি ভেতরে বিদ্যুৎ ও পানির সরবরাহ সচল করার কাজ শেষ হয়েছে। হামলা ও সহিংসতা রোধে কারা কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়েছে নতুন অস্ত্র ও গুলি।

আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আসামীদের বসবাসযোগ্য হবে বলেও জানিয়েছেন নতুন জেল সুপার কারাগারটিতে নতুন জেলার ও জেল সুপারসহ একাধিক কারারক্ষী পদায়ন করা হয়েছে। এদিকে কারারক্ষী সূত্রে জানা যায় ভিতরে প্রায় অধিকাংশ স্থাপনার কাজ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। বাইরে কারা কর্তৃপক্ষের কোয়ার্টারের কাজগুলি আগামী ৩ দিনের মধ্যে সম্পন্ন হবে।

এদিকে এক কারারক্ষী সংবাদর্মী রুদ্রকে পরিচয় গোপন রাখার শর্তে বলেন, এই কারাগারে অধিকাংশ বিল্ডিংয়ে একটি ফ্যান ও নেই। সবগুলো ফ্যান চুরি করে নিয়ে গেছে। কোন দানশীল ব্যক্তি যদি ফ্যানের ব্যবস্থা করে দিতো তাহলে অনেকটাই উপকার হতো।

আমার বর্তমান জেল সুপার স্যার প্রতিনিয়তই রাজমিস্ত্রী ও লেবারদেরকে প্রেশার দিয়ে আসছে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই চলমান কাজ শেষ করার জন্য। আমরা আশা করি জেল সুপারের নির্দেশ অনুযায়ী ৮-১৫ দিনের মধ্যে আসামীদের বসবাসযোগ্য হয়ে উঠবে এই কারাগারটি।

এদিকে এই জেলখানায় এক শ্রমিক মো. বিল্লাল মিয়া বলেন, জেলখানার ভিতর আমরা প্রায় ৪০/৫০ জন শ্রমিক প্রতিনিয়ত কাজ করে আসছি। ভিতরের কাজ ইতিমধ্যেই আমরা সম্পন্ন করেছি। বাহিরের খাদ্যের গোডাউন, ক্যান্টিন, প্রধান ফটক ও মসজিদের কাজগুলি কিছু বাকী রয়েছে। এই কাজগুলিও খুব শীঘ্রই সম্পন্ন হয়ে যাবে।

এদিকে নরসিংদীর নতুন জেল সুপার শামীম সংবাদকর্মী রুদ্রকে মোবাইল ফোনে তিনি বলেন, নরসিংদী কারাগারটি পুড়ে ছাই করে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আমার ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তার নির্দেশ অনুযায়ী সংস্কার কাজটি দ্রুত করার চেষ্টা করছি। আমরা আশা করছি আগামী ১০/১৫ দিনের মধ্যে এই কারাগারটি আসামী রাখার উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হবে।

প্রায় প্রতিটি রুম থেকেই ফ্যান চুরি হয়ে গেছে। বন্দীদের কল্যাণের উদ্দেশ্য সমাজের সহৃদয়বান ব্যক্তি যদি ফ্যানের ব্যবস্থা করে দিতে পারে এক্ষেত্রে আমাদের কোন আপত্তি নেই।
এ বিষয়ে জেলার ইউসুফ জানান, নরসিংদী কারাগারটি দ্রæত মেরামত করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই কারাগারের অধিকাংশ স্টাফ রদবদল করা হয়েছে।

আগামী কিছুদিনের মধ্যেই পুরো কাজ সম্পন্ন হবে বলে আমরা আশা করছি। ভিতরে প্রায় ৯০% কাজ সম্পূর্ন হয়েছে। বাহিরের কিছু কাজ বাকি রয়েছে। যেগুলো দ্রুত গতিতে সম্পন্ন করা হলে আগামী ১০/১৫ দিনের মধ্যেই বসবাসযোগ্য হয়ে উঠবে। আমাদের অধিকাংশ স্টাফ এখনও কোয়ার্টারের কাজ সম্পূর্ন না হওয়ায় বাহিরের তাবুতে অবস্থান করছেন।

এদিকে নরসিংদী বিজ্ঞ আইনজীবী এড. বদরুল আলম বলেন, দ্রæত নরসিংদী কারাগারটি সংস্কার হওয়া জরুরী। আমরা কোন ওকালতনামা ও জামিননামা কাশিমপুর কারাগারে পাঠাতে গেলে অনেক অর্থ ও সময় ব্যয় হচ্ছে। যা পুরোটাই আসামীদের অভিভাবকদের বহন করতে হচ্ছে। দ্রæত নরসিংদী কারাগারটির নির্মাণ কাজ শেষ করে চালু করা হবে বলেই আমরা আশা করছি।