আজ জিয়াউর রহমানের ৩৮তম শাহাদতবার্ষিকী
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৩৮তম শাহাদতবার্ষিকী আজ। ১৯৮১ সালের এদিন ভোরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে বিপথগামী কিছু সেনাসদস্যের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন তিনি। এরপর থেকে বিএনপি ও সমমনা দল এবং এর অঙ্গসংগঠনগুলো দিনটিকে জিয়াউর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী হিসেবে পালন করে আসছে।
এ উপলক্ষে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকে ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে বুধবার বিএনপির উদ্যোগে ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জিয়ার শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতি বছর রাজধানীর গরিবদের মাঝে খাবার বিতরণ করেন দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। মহানগর বিএনপির উদ্যোগে শতাধিক স্পটে এ খাবার বিতরণ করা হতো। কিন্তু এবার খালেদা জিয়া কারাগারে থাকায় তা সীমিত আকারে পালন করা হচ্ছে।
মাজার জিয়ারতের পর দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গরিবদের মাঝে ইফতারসামগ্রী, খাবার ও কাপড় বিতরণ করবেন। মহাখালীর আজরত পাড়াসহ কয়েকটি স্পটে এসব বিতরণ করা হবে। এছাড়াও শুক্রবার মিরপুর কাজীপাড়া বাস স্ট্যান্ডসহ ৬টি স্পটে গরিবদের মাঝে ইফতারসামগ্রী, খাবার ও কাপড় বিতরণ করা হবে।
এদিকে দলের প্রতিষ্ঠাতার শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশের দুঃসময়ে শক্ত হাতে হাল ধরেন জিয়াউর রহমান। তার জনপ্রিয়তা দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারী শক্তি কখনোই মেনে নিতে পারেনি। তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তবে জনগণের হৃদয়ে চিরজাগরূক হয়ে অবস্থান করছেন তিনি।
ফখরুল বলেন, বর্তমান অগণতান্ত্রিক সরকার দেশে একদলীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করেছে। কেন্দ্রীভূত স্বৈরতন্ত্রের প্রতিভূ বর্তমান সরকার। এরা নতুন কায়দায় পুরনো বাকশালকে পুনরুজ্জীবিত করেছে। বিরোধী দলের অধিকার, চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা ভূলুণ্ঠিত করে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। সেজন্য দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মিথ্যা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে সাজানো মামলায় অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে। এ যেন গণতন্ত্রকেই কারাগারে আটকিয়ে রাখা। তাকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সব গণতন্ত্রকামী মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আপসহীন নেত্রী কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনতে হবে। জাতীয় জীবনের চলমান সংকটে শহীদ জিয়ার প্রদর্শিত পথ ও আদর্শ বুকে ধারণ করেই আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। জাতীয় স্বার্থ, বহুমাত্রিক গণতন্ত্র এবং জনগণের অধিকার সুরক্ষায় ইস্পাত কঠিন গণঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার হিসেবে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা অবিস্মরণীয় হয়ে আছে। ‘জেড ফোর্স’র অধিনায়ক হিসেবে রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেন তিনি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেনাবাহিনীর বিপথগামী কিছু সদস্যের হাতে নির্মমভাবে নিহত হওয়ার পর জিয়াউর রহমান সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন। একই বছর ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে তিনি প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে রাষ্ট্রক্ষমতায় বসেন। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন