আটপাড়ায় যুবলীগের মিছিলে পেট্রলবোমা, বিএনপি প্রার্থীর বাসায় হামলা
নেত্রকোণার আটপাড়ায় যুবলীগের মিছিলে পেট্রলবোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কার্যালয়ের সামনে থেকে যুবলীগের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে স্থানীয় ব্রুজের বাজার ব্রিজসংলগ্ন স্থানে পৌঁছালে এ ঘটনা ঘটে।
এতে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নিজাম ইয়ার খান, ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুফল খান, ছাত্রলীগ নেতা শিবলী, মোহন, তুহিন, হৃদয় ও লিমন আহত হন বলে জানিয়েছেন আটপাড়া থানার ওসি অভিরঞ্জন দেব। আহতদের আটপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মো. খায়রুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস রানা আনজু বলেন, বিএনপি আসন্ন নির্বাচনকে বানচাল করার লক্ষ্যে নাশকতা সৃষ্টি করছে। আমরা থানায় মামলা করে আইনের আশ্রয় গ্রহণ করবো।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে আটপাড়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, আমার জানা মতে এ ঘটনার সঙ্গে আমাদের বিএনপির কোনো নেতাকর্মী জড়িত নয়। কারণ ঘটনাস্থলে আমাদের কোনো লোকজনই ছিল না।
এ দিকে খবর পেয়ে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অসীম কুমার উকিলের সহধর্মীনি বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আটপাড়া উপজেলা নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক অপু উকিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আহতদের দেখতে যান এবং নির্বাচনের অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টিকারী বিএনপি-জামায়াত জোটের সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
আটপাড়া থানার ওসি অভিরঞ্জন দেব জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং সরেজমিনে পেট্রলবোমার আলামতের সত্যতা পাওয়া গেছে।
এ দিকে ঘটনার প্রতিবাদে রাত সাড়ে ৮টার দিকে কেন্দুয়ায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী অসীম উকিলের সমর্থক ও আওয়ামী লীগের লোকজন একটি প্রতিবাদ মিছিল বের করে। মিছিলটি থানাসংলগ্ন এলাকায় বিএনপির প্রার্থী রফিকুল ইসলাম হিলালীর রাজনৈতিক কার্যালয় ও বাসার সামনে দিয়ে গেলে মিছিল থেকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় বেশ দুর্বৃত্তরা রফিকুলের কার্যালয় ও ব্যক্তিগত গাড়ি ভাঙচুর করে। রফিকুল একপর্যায়ে তার ব্যক্তিগত পিস্তল ও শটগান দিয়ে ছয় রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়েন।
রাত ৯টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত রফিকুল মুঠোফোনে জানান, দুর্বৃত্তরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার বাসা ঘিরে রেখেছে। পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করছে।
এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমারত হোসেন গাজীর মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
তবে নেত্রকোণার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, ‘আমি অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে রওনা হয়েছি। শুনেছি পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আর আওয়ামী লীগের প্রার্থী অসীম কুমার উকিলের মুঠোফোন বারবার ব্যস্ত থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন