আড়াই বছর সাজা ভোগের পর বাংলাদেশি দম্পতিকে বেনাপোলে হস্তান্তর
ভালো কাজের আশায় দালালের প্রলোভনে পড়ে ভারতে গিয়ে আটক এক বাংলাদেশি দম্পতিকে আড়াই বছর পর বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তাদেরকে বেনাপোল ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে। মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়।
এর আগে কলকাতা পুলিশের বিশেষ গাড়ি চেপে বিশেষ ট্রাভেল পারমিট নিয়ে পেট্রাপোল চেকপোস্টে এসে পৌঁছান পুনেতে জেলে আটক থাকা বাংলাদেশের এ দম্পতি। ভারতের পুনে জেল থেকে ছাড়া পাওয়া দম্পতির বাড়ি খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলায়।
স্ত্রী সালমা খাতুন (ছদ্মনাম) বলেন, সাতক্ষীরার জনৈক পাচারকারীর খপ্পরে পড়ে ২০১৯ সালে মার্চ মাসে তারা ভারতে মুম্বাই শহরে যায়। কাপড়ের দোকানে মোটা বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তাদেরকে ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়।
কলকাতার এক দালাল ট্রেনে করে তাদেরকে মুম্বাই নেওয়ার তিন দিন পর বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে আসার অপরাধ দেখিয়ে স্বামীকে পুলিশে ধরিয়ে দেয় দালালরা। পরের দিন রাতে সংঘবদ্ধ দালাল চক্র তাকে পুনের বুধওয়ার পেথ নামক একটি নিষিদ্ধ পলীতে মোটা অংকের টাকায় বিক্রি করে দেয়। নিষিদ্ধ পলীতে অবস্থান কালে তাকে দেহ ব্যবসা করার জন্য মারধর করলে রাতের আধারে পালিয়ে নিকটস্থ থানায় আশ্রয় নেন তিনি। পুলিশ আদালতে পাঠালে তাকে দোষী করে আড়াই বছরের সাজা দেয়।
সাজা ভোগ শেষে দেশে ফেরার কাগজ তৈরি করতে সময় লাগে প্রয় ৮০ দিন। পুনের ফরাসখানা থানা কাগজপত্র তৈরি শেষে বিশেষ পুলিশি পাহারায় রবিবার সন্ধ্যায় মুম্বাই থেকে কলকাতার উদ্দেশে ট্রেনে রওনা দেয়।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আহসান হাবিব জানান, বিশেষ ট্রাভেল পারমিট নিয়ে বাংলাদেশে ফেরত আসা দম্পতিকে নিয়মানুযায়ী কোয়ারেন্টিনে রাখার জন্য শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঝিকরগাছা গাজিরদরগা নামক কোয়ারেন্টিন সেন্টারে তাদের রাখা হতে পারে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন