আত্মসমর্পণকারী চার ‘জঙ্গি’ সারোয়ার-তামিম গ্রুপের সদস্য
নিজস্ব প্রতিবেদক : সাভারের আশুলিয়ার নয়ারহাট থেকে ৪ জঙ্গি কে আটক করেছে র্যা পিড আ্যকশন ব্যাটালিয়ন (র্যা ব) আটকের পর র্যা ব জানিয়েছে এরা চার জনই সরওয়ার-তামিম গ্রুপের সদস্য।
বরিবার (১৬জুলাই) দুপুর ১২ টার দিকে সাভারের আশুলিয়ার নয়ারহাট পাথালিয়া ইউনিয়নের চৌরাপাড়া এলাকার ঈব্রাহিম এর বাড়ি থেকে চার জন কে আটক করে র্যা ব।
তবে এখনো আটক কৃতদের পূর্নাঙ্গ পরিচয় জানায়নি র্যা ব। প্রাথমিক ভাবে তাদের নাম প্রকাশ করেছে র্যা ব। মোজাম্মেল হক, রাশেদুন নবী, ইরফানুল ইসলাম এবং আলমগীর হোসেন। এদের মধ্যে মোজাম্মেল হক দলনেতা ছিলেন বলে জানায় র্যা ব।
প্রায় দুই মাস আগে পোশাক শ্রমিক পরিচয়ে আজাদ নামের একজন মাসে আড়াই হাজার টাকায় ঈব্রাহিমের বাড়িটি ভাড়া নেয়।ভাড়া নেয়ার সময় ঈব্রহিমকে বলে আমরা কয়েক জন মিলে এখানে থাকব, আর আমরা সবাই পোশাক শ্রমিক।
কিছু দিন পর ভাড়াটিয়াদের চলাফেরায় সন্দেহ হওয়ায় র্যা ব কে জানায় বাড়ির মালিক ঈব্রাহিম। তাকেও জিজ্ঞাসা বাদ করা হচ্ছে।
শনিবার রাত থেকেই সাভারের আশুলিয়ার নয়ারহাট পাথালিয়া ইউনিয়নের চৌরাপাড়া এলাকার জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঈব্ররাহিম এর টিনশেড বাড়ি টিকে ঘিরে ফেলে র্যা ব সদস্যরা।রাত একটার সময়ই র্যা বের অভিযানের কারযক্রম শুরু করে।
রাত তিনটার দিকে র্যা বের উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়িটির ভিতর থেকে র্যা ব সদেস্যদের উদ্দেশ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে ও বেশ কয়েকটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা। এর পর র্যা ব ও পাল্টা গুলি ছুড়ে ও মাইকিং করে জঙ্গিদের আত্মসমর্পন করতে আহ্বান জানান হয়।
এর পর পরই এলাকা বাসীর মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে।পরে আশপাশের বাসিন্দাদের নিরাপত্তার জন্য তাদেরকে একটি নিরাপদ স্থানে সড়িয়ে নেয় র্যা ব।
র্যা বের অিভিযান চলাকালে ঘটনাস্থলের আশেপাশের মানুষের মধ্য দেখা গেছে চরম আতঙ্ক।
ভক্সপপঃ তিন জন স্থানীয়।
র্যা বের আহ্বানে দীর্ঘ নয় ঘন্টা পর একে একে চার জন আত্মসমর্পন করেন।
র্যা বের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল মুফতি মাহমুদ খান বলেন, দুপুর বারো টার দিকে র্যা বের আহ্বানে প্রথমে একজন বেড়িয়ে আসে। এবং সে বলে বাড়ির ভিতরে আরো তিন জন পুরুষ আছে। র্যা ব তাদের ও আত্মসমর্পন করার জন্য আহ্বান জানান। এর পর আরো দুজন এবং সব শেষে এক জন মোট চার জন আত্মসমর্পন করে।
তিনি আরো জানান, এই মূল তথ্য পেয়েছিলাম গ্রেপ্তারকৃত সরওয়ার-তামিম এর কাছ থেকে এবং এখন আমরা নিশ্চিত যে এরা তমিম গ্রুপ এরই সদেস্য।
র্যা বের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল মুফতি মাহমুদ খান আরও বলেন এখনোও অভিযান পুরোপুরি শেষ হয়নি,ভেতরে কিছু বিষ্ফোরক (বোম)আছে র্যা বের বোম ডিস্পোজাল ইউনিট তা নিস্কিৃয় করার পর অভিযান শেষ হবে বলে জানান।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন