নওগাঁর আত্রাইয়ে যুবককে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ

নওগাঁর আত্রাইয়ে আবু সাইদ সোহাগ (২৫) নামে এক যুবককে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার ১৭ এপ্রিল সকালে উপজেলার সিংসাড়া পূর্বপাড়া ওমর মাস্টারের পুকুরপাড় থেকে ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সোহাগ একই গ্রামের দিদার সাকিদারের ছেলে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

নীহত আবু সাইদ সোহাগের ভাগ্নে রবিন হোসেন বলেন, তার মামা সোহাগ সিংসাড়া কলেজে এইচ এস সিতে পড়া-লেখা করছিলেন। পড়া-লেখার পাশাপাশি মামা সোহাগ একই গ্রামের এক যুবতির সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে বিয়ে করেন এবং প্রায় তিন বছর ঘর-সংসার করেন তারা।

এরই মধ্যে উভয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব হলে প্রায় ৬-৭মাস আগে মামা-মামির মধ্যে বিচ্ছেদ হয়। কিন্তু এর পরেও মামার শ্বশুর পক্ষের লোকজন মামা সোহাগকে নানান ভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল। তিনি বলেন, রোববার রাতে সবাই খাবার খেয়ে যে যার মতো ঘুমিয়ে পড়ি। সকালে ঘুম থেকে ওঠার আগেই মোবাইল ফোনে জানতে পারেন, পুকুরপাড়ে সোহাগের লাশ পরে আছে। সাথে সাথে সেখানে ছুটে গিয়ে দেখি মামার নিথর দেহ পরে আছে। তিনি আরও বলেন, মামা সোহাগ যে ঘরে থাকেন সে ঘরের একটি জানালাও ভাঙ্গা রয়েছে। হয়তো হত্যাকারীরা জানালা ভেঙ্গে মামাকে বের করে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে এবং শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। রবিন বলেন, মামা সোহাগের হাতের আঙ্গুলগুলো থেতলানো ছিল, শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতজনিত ক্ষত চিহ্ন ছিল এবং গলায় কিছু দিয়ে শ্বাসরোধ করার স্পষ্ট দাগও রয়েছে।
তিনি দাবি করে বলেন, তার মামাকে পিটিয়ে এবং শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে মামার সাবেক শ্বশুর পরিবারে পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষ হত্যাকারীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি।

আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেকুর রহমান সরকার বলেন, নিহত সোহাগের শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে হত্যা করা হয়েছে প্রাথমিকভাবে এমন ধারনা করে তিনি আরও বলেন,লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং সুষ্ঠু তদন্ত চলছে।

এ ঘটনায় পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং সোহাগের পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে জানিয়েছেন তিনি।