আনিসুল হকের প্রতি জাতির শেষ শ্রদ্ধা
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হকের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন আপামর মানুষ। আজ শনিবার বিকেল সোয়া ৩টার পর থেকে বনানীর আর্মি স্টেডিয়ামে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো শুরু হয়।
শ্রদ্ধাঞ্জলি পর্বের শুরুতেই রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের পক্ষ থেকে তাঁর সামরিক সচিব মেজর জানারেল সারোয়ার হুসেন, প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে তাঁর সামরিক সচিব মিঞা মুহম্মদ জয়নাল আবেদীন, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিনের পক্ষ থেকে সার্জেন্ট অব আর্মস ক্যাপ্টেন মোস্তাক আহমেদ শ্রদ্ধা জানান।
এরপর বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন, ব্যবসায়ী সংগঠন ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সাধারণ মানুষ সারিবদ্ধভাবে আনিসুলের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানান দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, তোফায়েল আহমেদ, মতিয়া চৌধুরী, কর্নেল (অব.) ফারুক খান, আবদুর রাজ্জাক, মুকুল বোস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল প্রমুখ।
এর আগে দুপুরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল আনিসুল হকের বনানীর ২৭ নম্বর রোডের বাসায় গিয়ে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানায়।
এর আগে আজ শনিবার দুপুর ১টার দিকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে তাঁর মরদেহ ঢাকায় হযরত শাহজালাল (রহ.) বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়।
এ সময় সেখানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সেনাপ্রধান জেনারেল আবু বেলাল শফিউল হক উপস্থিত ছিলেন। আনিসুল হকের লাশের সঙ্গে এসেছেন স্ত্রী রুবানা হক ও ছেলে নাভিদুল হক।
স্ত্রীর সঙ্গেই গত ২৯ জুলাই পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যুক্তরাজ্যে যান। পরে সেখানে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতাল থেকে আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরা হয়নি। গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ২৩ মিনিটে লন্ডনের ওয়েলিংটন হাসপাতালে মারা যান এই গুণী ব্যবসায়ী নেতা ও টিভি ব্যক্তিত্ব।
বিমানবন্দর থেকে আনিসুল হকের মরদেহ তাঁর বনানীর ২৭ নম্বর সড়কে নিজ বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। আগে থেকেই সেখানে হাজির ছিলেন প্রয়াত মেয়রের আত্মীয়স্বজন, বিপুল শুভানুধ্যায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। সেখানে তাঁকে শ্রদ্ধা জানানো হবে। এ পর্ব সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করার জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। বাড়ির বাইরে প্রচুর সাধারণ মানুষ জড়ো হয়েছেন তাঁকে শেষবারের মতো দেখার জন্য। কিন্তু বাসায় ভেতরে শুধু নির্ধারিত মানুষদেরই প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।
শেষবারের মতো আনিসুল হকের লাশ নিজের বাসভবনে পৌঁছালে পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। সেখানে এক শোকাবহ পরিবেশ তৈরি হয়।
বাসা থেকেই তাঁর লাশ নিয়ে আসা হবে বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে। বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত সেখানে থাকবে লাশ। সেখানেই আসরের নামাজের পরই তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে সন্ধ্যার আগেই বনানী কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হবে।
সেখানে আনিসুল হকের মায়ের কবর আছে। সেখানে তাঁর পুত্র সন্তানের কবরও আছে। পুত্রসন্তানের কবরে তাঁকে সমাহিত করা হবে।
এর আগে গতকাল শুক্রবার বাদ জুমা সেন্ট্রাল লন্ডনের রিজেন্ট পার্ক মসজিদে প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন