আন্তর্জাতিক মুদ্রাবাজারে মার্কিন ডলারের দরপতন
আন্তর্জাতিক মুদ্রাবাজারে অন্যান্য মুদ্রার বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের দরপতন ঘটেছে। সদ্য সমাপ্ত নভেম্বরে দেশটিতে মূল্যস্ফীতি হ্রাস পেয়েছে। ফলে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) সুদহার কমানোর সম্ভাবনা জোরাল হয়েছে। পরিপ্রেক্ষিতে ইউএস ডলারের দাম কমেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়, শুক্রবার প্রধান ৬ বৈশ্বিক মুদ্রার বিপরীতে ডলার সূচক নিম্নমুখী হয়েছে শূন্য দশমিক ১১ শতাংশ। এখন যা ১০৩ দশমিক ৩৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সম্প্রতি তা মাসিক ভিত্তিতে গত ১ বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে গিয়ে ঠেকেছে।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত উপাত্তে দেখা গেছে, গত নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে ভোক্তা ব্যয় সামান্য বেড়েছে। সেইসঙ্গে গত ২ বছরের মধ্যে বার্ষিক মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে সবচেয়ে কম। ফলে শিগগিরিই ফেড সুদহার হ্রাস করতে পারে।
নর্থ আমেরিকা, ভালিদাস রিস্ক ম্যানেজমেন্টের গ্লোবাল ক্যাপিটাল মার্কেটসের প্রধান রায়ান ব্র্যান্ডহ্যাম জানান, ফেডের লক্ষ্য হচ্ছে মূল্যস্ফীতি ২ শতাংশে রাখা। এখন যেটা আছে ৩ শতাংশে। চলতি বছরের শুরুতে যা ছিল আরও বেশি। অর্থাৎ সেই হার ক্রমান্বয়ে কমছে।
এ প্রেক্ষাপটে আলোচ্য কার্যদিবসে ইউরোর মানে উত্থান ঘটেছে শূন্য দশমিক ২১ শতাংশ। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) মূল মুদ্রাটির মূল্য স্থির হয়েছে ১ দশমিক ০৯০৯ ডলারে। একই দিনে স্টার্লিংয়ের দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে শূন্য দশমিক ১৪ শতাংশ। ব্রিটিশ মুদ্রাটির দর নিষ্পত্তি ঘটেছে ১ দশমিক ২৬৪ ডলারে।
আলোচিত কর্মদিবসে জাপানি মুদ্রা শক্তিশালী হয়েছে শূন্য দশমিক ০৬ শতাংশ। প্রতি গ্রিনব্যাকের দাম দাঁড়িয়েছে ১৪৮ দশমিক ০৯ ইয়েনে। অস্ট্রেলিয়ার মুদ্রার দরে উল্লম্ফন ঘটেছে শূন্য দশমিক ০৬ শতাংশ। ১ অসি কারেন্সি বিক্রি হয়েছে শূন্য দশমিক ৬৬১ ডলারে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন