আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বললেন ভিসি
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম ইমামুল হক বলেন, আজকের এই স্বাধীনতা দিবসে যারা এমন কাজ (আন্দোলন) করে, তারা রাজাকারের বাচ্চা ছাড়া কিছুই না। আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি, এরা রাজাকারের বাচ্চা, স্বাধীনতা বিরোধী ছাড়া এই কাজ কেউ করতে পারে না। এ সময় তিনি ব্যথিত হৃদয়ে বলেন, তোমরা বুঝতেই পারছ, আমার এখানে (বিইউডিএস’র অনুষ্ঠানে) আসার ইচ্ছা ছিল না; তবুও এলাম। তোমরা যা করছ তা একজন শিক্ষক হিসেবে আমার কাছে কাম্য নয়। তোমরা নিজেদের শিক্ষকের সমান মনে কর। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং সোসাইটির (বিইউডিএস) একটি অনুষ্ঠানে উপাচার্য এ কথা বলেন।
স্বাধীনতা দিবসে শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে আয়োজিত গার্ডেন পার্টির বিরুদ্ধে মঙ্গলবার দিনভর আন্দোলন করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের এক পর্যায়ে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে গার্ডেন পার্টির প্রতিবাদে ৫ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেন তারা। এ সময় শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, প্রতি বছর জাতীয় দিবসে চা-চক্র ও সাংস্কৃতিক (গার্ডেন পার্টি) অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন উপাচার্য এম এম ইমামুল হক। অনুষ্ঠানে প্রশাসনের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও উপাচার্যের পছন্দের ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে এই অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের কোনো অংশগ্রহণ থাকে না। শিক্ষার্থীদের কাছে দিবসের তাৎপর্য বা ইতিহাস তুলে ধরা হয় না। তাই উপাচার্যের চা-চক্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভে নেমেছেন তারা।
শিক্ষার্থীদের ৫ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবসসহ সকল জাতীয় দিবসে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা; স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত রাখা; বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক কমিটি শিক্ষার্থীদের দ্বারা পরিচালিত হওয়া; টিএসসিকে সাংস্কৃতিক চর্চার জন্য উন্মুক্ত করা এবং সর্বোচ্চ ৫শ’ টাকা ভাড়া নির্ধারণের মাধ্যমে সামাজিক, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের জন্য কনফারেন্স রুম ব্যবহার করতে দেয়া।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন