আপনার আশেপাশেই রয়েছে প্রেতাত্মাদের বিচরণ!

বিশ্বাসে যে বস্তু মিলায়, তর্ক তাকে নিয়ে যায় বহু দূর। যারা মানেন তারা জানেন জাগতিক এই জগতের বাইরেও রয়েছে এমন কিছু, যুক্তিতে যার ব্যাখ্যা দেওয়া সম্ভব নয়।

শরীরের শেষ আছে। কিন্তু আত্মা অবিনশ্বর। মৃত্যুর পরও থেকে যায় তার অস্তিত্ব। এই অস্তিত্বই কখনও কখনও অস্বস্তিতে ফেলে জীবিতদের। গবেষকরা বলছেন এমন কিছু মাধ্যম রয়েছে যা জীবন-মৃত্যুর মাঝের পথকে সুগম করে তোলে। যেমন-
১) আলো-

গবেষকদের ধারণা, অশরীরীরা বিদ্যুৎকে সহজেই প্রভাবিত করতে পারে। অনেক সময় দেখা যায় কোনও নির্দিষ্ট ঘরের লাইট হঠাৎ করে জ্বলে ওঠে। কিংবা ক্রমাগত দপদপ করতে থাকে। নতুন লাইট কিনে এনেও কোনও ফল হচ্ছে না। অর্থাৎ প্রেতাত্মাদের উপস্থিতি থাকার সম্ভাবনা প্রবল।

২) তাপমাত্রা-

ঘরের সমস্ত জানলা-দরজা বন্ধ। অথচ কেমন যেন ঠান্ডা-ঠান্ডা লাগছে। হঠাৎ করেই সর্বাঙ্গ কেঁপে উঠল। এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হলে মনে করবেন হয়তো আপনার ঘরে কোনও আত্মার প্রবেশ ঘটেছে।

৩) শব্দ-

হঠাৎ করে যেন কেউ আপনার নাম ধরে ডাকল। আপনি ঠিকই শুনতে পেলেন। কিন্তু পাশের জন তো শুনতে পায়নি? এমন হলে বুঝবেন আপনার কোনও প্রিয়জনের আত্মা আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে। নিজের নামের পরিবর্তে কোনও নির্দিষ্ট শব্দও শুনে থাকতে পারেন।

৪) ঘড়ি বন্ধ –

ঘড়ির সঙ্গে আত্মার একটু অদ্ভুত সম্পর্ক। যে সময় আপনার কোনও প্রিয়জনের মৃত্যু হয়েছে কিংবা আপনি তাঁর মৃত্যুর খবর শুনেছেন যদি সেই সময়ই ঘড়ি চলতে চলতে বারবার থেমে যায়, তাহলে বুঝবেন সেই প্রিয়জনের আত্মা আপনাকে দেখছে।

৫) মৃতদের মুখ-

রাস্তায় চলাকালীন কোনও মানুষের মুখ বড় চেনা লাগল। যেন আপনারই কোনও মৃত আত্মীয় বা আত্মীয়ার মতো দেখতে। এমনটা হলে জানবেন সেই আত্মা আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে।

৬) বিদ্যুতের সামগ্রী –

ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে বসে কাজ করছেন৷ আচমকা আপনা থেকেই সব কাজ হয়ে যাচ্ছে৷ ওয়ার্ড প্যাড খুলে লেখা শুরু হয়ে যাচ্ছে৷ ভাইরাস হামেশা নাও হতে পারে৷ তাঁরা নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে পারে৷

৭) স্বপ্ন-

স্বপ্ন এমন দুনিয়া যা অবেচতন মনকে সক্রিয় করে তোলে৷ এমন মানসিক জগতেই আত্মারা সহজে প্রবেশ করতে পারে৷ জানিয়ে যেতে পারে তেনাদের অপূর্ণ ইচ্ছা-অনিচ্ছা।

৮) গন্ধ –

মৃত প্রিয়জনের কোনও নির্দিষ্ট গন্ধ প্রিয় ছিল৷ পারফিউম বা ফুলের গন্ধ৷ মৃত্যুর পরও যদি সেই গন্ধটিই ঘরে পান, তাহলে বুঝবেন সে রয়েছে আপনার কাছেই৷