আপন জুয়েলার্সকে বয়কট করুন
মেরিনা ইয়াসমিন: ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স যখন টেনে হিঁচড়ে এক যাত্রীকে প্লেন থেকে নামিয়ে দিলো, তখন তাদের সিইও জনসমক্ষে ক্ষমা চান নি। যখন জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইউনাইটেডকে বয়কট করলো, যখন তাদের শেয়ারের মূল্যে ধস নামলো, যখন তারা কয়েকদিনের মাথায় ১ বিলিয়ন ডলারের মতো সম্পদ হারালো, তখন সিইও জনসমক্ষে আসলেন। বললেন, খুব ভুল হয়ে গেছে- মাফ করে দিন।
গতকাল থেকে অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, বলছেন যেহেতু প্রভাবশালী পরিবারের ছেলে, কয়েকদিন মিডিয়া একটু হইচই করবে, তারপর ব্যাপারটাকে ধামাচাপা দেয়া হবে। এটা হওয়ার সম্ভাবনা নেহায়েত কম নয়।
কিন্তু এবার আমাদের একটা পদক্ষেপ নেয়ার সুযোগ আছে। যারা গয়নাগাটি কিনে থাকেন, তাদের জন্য আপন জুয়েলার্স একটি অতি পরিচিত নাম। আমাদের উচিত আপন জুয়েলার্সকে সম্পূর্ণভাবে বয়কট করা। যতগুলো ঘরে ফেসবুক রয়েছে, সেইসব পরিবার যদি দৃঢ় প্রতিজ্ঞা নেয়- আপন জুয়েলার্স থেকে আর কোন কেনাকাটা করা হবে না- বিশেষ মূল্যছাড় দিলেও না; তখন ওদের বিবেক ওদের কিছু বলুক আর না বলুক, আসন্ন ঈদ ও বিয়ের মৌসুমে ওদের ব্যালেন্স শিট অন্তত ওদেরকে জানিয়ে দেবে- কাজটা ঠিক হয়নি।
বলতে পারেন, এরা ইতোমধ্যেই যত টাকা বানানোর বানিয়ে ফেলেছে- এসব করে কি আদৌ কোন লাভ হবে? একই কথা কিন্তু ইউনাইটেড এর মতো কম্পানির ক্ষেত্রেও বলা যেত। কিন্তু মানুষ সত্যি ঐক্যবদ্ধ হতে পারলে, বয়কটের প্রভাব একেবারে নগণ্য নয়। এমনকি ইজরাইলের মত শক্তিশালী রাষ্ট্র বিডিএস মুভমেন্ট দ্বারা এতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে তারা এখন অ্যান্টি-বিডিএস মুভমেন্টের পেছনে যথেষ্ট টাকা ব্যয় করছে।
এ ধরনের কেইসে আমরা সবসময় শুনে থাকি- আইন তার নিজ গতিতে চলবে। এবার আমাদের বলার পালা- ক্রেতারাও তার নিজ বিবেচনায় বেচা-কেনা করবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন